আসছে বছর মঙ্গলে নাসার ‘ইনসাইট’ অভিযান হচ্ছে না। লাল গ্রহে যাচ্ছে না নাসার মহাকাশযান।
আর পনেরো বছরের মধ্যে লাল গ্রহে মহাকাশচারী পাঠানোর আগে মঙ্গলের আবহাওয়া ও মাটি পরখ করার জন্য যে মহাকাশযান পাঠানোর কথা ছিল, তা বাতিল করে দিল নাসা।
জানিয়ে দিল, যান্ত্রিক ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য আগামী বছর ওই ‘ইনসাইট’ অভিযান সম্ভব হচ্ছে না। কবে হবে, সেটাও বিশ বাঁও জলে। এখনও তা বলা যাচ্ছে না।
কেন বাতিল হল আগামী বছরে নাসার মঙ্গল অভিযান?
নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরির ‘ইনসাইট’ প্রকল্পের প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর ব্রুস ব্যানার্ডট্ এ দিন জানিয়েছেন, ‘‘লাল গ্রহের আবহাওয়া ও মাটি পরীক্ষার জন্য যে ‘সিসমিক ইনভেস্টিগেশানস জিওডেসি অ্যান্ড হিট ট্রান্সপোর্ট’ বা ‘ইনসাইট’ অভিযানের কথা ছিল, তাতে মূল দু’টি যন্ত্রে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়েছে। আগেও ওই ত্রুটিগুলি ধরা পড়েছিল। সে সব সারানোও হয়েছিল। কিন্তু এখন ওই ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলি আবার দেখা যাচ্ছে। যা আগামী বছরে পুরোপুরি সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়।’’
দেখুন গ্যালারি- মঙ্গলে অতীতে জলের প্রবাহের প্রামাণ্য ছবি
ত্রুটি ধরা পড়েছে মূলত, কোন যন্ত্রে?
ওয়াশিংটনে নাসার ‘সায়েন্স মিশন ডাইরেক্টরেটে’র অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জন গ্রান্সফেল্ড বলেছেন, ‘‘গলদটা রয়েছে দু’টি যন্ত্রে। একটি-‘সিসমিক এক্সপেরিমেন্ট ফর ইন্টিরিয়র স্ট্রাকচার’ (এসইআইএস)। অন্যটি-‘সিসমোমিটার’। দু’টি যন্ত্র বানিয়েছিল ফ্রান্সের তুলুজঁ অ্যাকাডেমি। একটা পরমাণুর ব্যাস যত টুকু, সেই অতি সামান্য পরিমাণ এলাকায় মঙ্গলের মাটির সরণ-কম্পন ও ভূ-স্তরের উত্থান-পতনের মাপ নিতেই ওই যন্ত্র দু’টিকে বানানো হয়েছে। ওই যন্ত্র দু’টিকে বাদ দিয়ে মঙ্গলে অভিযান পাঠানোর কোনও অর্থই হয় না। তাই অভিযান বাতিল করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy