- ফাইল ছবি।
কোভিড সংক্রমণ রুখতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে কি না, তা জানতে আর এলিজা টেস্ট করানোর প্রয়োজন হবে না। পরীক্ষার ফলাফল জানতে ৬/৭ ঘণ্টা সময়ও লাগবে না। বাজারে চালু পদ্ধতিতে এখন এই পরীক্ষা করাতে যা খরচ হয় তা কমে ১০ ভাগের ১ ভাগ হয়ে যাবে। ফলাফল জানা যাবে ১ ঘণ্টার মধ্যেই।
মানব শরীরে কোভিডের অ্যান্টিবডি পরীক্ষার এই অভিনব পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি করল কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল। যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডোনেলি সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড বায়োমলিকিউলার রিসার্চ’-এর বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার জেনেটিক্সের অধ্যাপক ইগর স্ট্যাগলজার। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার কমিউনিকেশন্স’-এ।
অভিনব পদ্ধতিটির নাম, ‘স্যাটিন’। বা, ‘সেরোলজিক্যাল অ্যাসে বেস্ড অন স্প্লিট ট্রাইপার্ট ন্যানোলুসিফারেজ’।
‘‘এখন যে এলিজা পদ্ধতিতে কোভিডের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা বাজারে চালু রয়েছে, তার ফলাফল জানতে অন্তত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। খরচও হয় অনেক বেশি। নতুন পদ্ধতি সময় ও খরচ দুই-ই কমাতে পারবে’’, বলেছেন ইগর।
সার্স-কোভ-২ ভাইরাসকে দ্রুত চিনতে পারে, মানবশরীরে তার দ্রুত সংক্রমণ রুখতে পারে রক্তে এমন প্রোটিন অণু, অ্যান্টিবডিগুলি কতটা কী পরিমাণে তৈরি হয়েছে, এলিজা-সহ বিভিন্ন সেরোলজিক্যাল টেস্টে সেটাই জানার চেষ্টা করা হয়। গোটা জনসংখ্যার মধ্যে কোভিডকে রোখার প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউনিটি) মানব শরীর কতটা গড়ে তুলতে পেরেছে তা বোঝার জন্য এই সেরোলজিক্যাল টেস্টগুলিই এখন বিজ্ঞানী, গবেষক ও চিকিৎসকদের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার।
কানাডার ন্যাশনাল কোভিড ইমিউনিটি টাস্ক ফোর্সের জানুয়ারির রিপোর্ট বলছে, সে দেশের বেশির ভাগ মানুষই কোভিড সংক্রমিত বা সম্ভাব্য সংক্রমণের মুখে। এঁদের মধ্যে ২ শতাংশের কম মানুষের শরীরে কোভিডের অ্যান্টিবডি গড়ে উঠতে পেরেছে।
গবেষকরা এও জানিয়েছেন, মানব শরীরে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণ যে হেতু স্বল্প, মাঝারি ও ভয়াবহ-- ৩ ধরনের হয় তাই এক বার সংক্রমণ থেকে মুক্ত হওয়ার পর রক্তে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পরিমাণেরও তারতম্য থাকে এক রোগী থেকে অন্য রোগীতে।
সে ক্ষেত্রে ধরে নিতেই হবে, কোভিড রোখার জন্য রক্তে অ্যান্টিবডির পরিমাণের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা থাকে। যার থেকে রক্তে কম পরিমাণে অ্যান্টিবডি থাকলে মানব শরীরের পক্ষে কোভিড সংক্রমণ রোখা সম্ভব হয় না।
‘‘তবে রক্তে অ্যান্টিবডির সেই ন্যূনতম মাত্রা কতটা, তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি’’, বলেছেন অন্যতম গবেষক ঝং ইয়াও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy