-ফাইল ছবি।
রেড মিট খেলে কেন কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে, এই প্রথম তার একটি কারণ খুঁজে বার করতে পারলেন বিজ্ঞানীরা। যা আগামী দিনে কোলোরেক্টাল ক্যানসার চিকিৎসার কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কারের পথ খুলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের একাংশ।
আশা জাগানো এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্যানসার বিষয়ক গবেষণা পত্রিকা ‘ক্যানসার ডিসকভারি’-তে। ক্যানসার বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের এত দিন শুধুই সন্দেহ ছিল, খুব বেশি পরিমাণে রেড মিট খাওয়ার অভ্যাসের সঙ্গে কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুর কোনও যোগসাজশ থাকতে পারে। কিন্তু কী ভাবে রেড মিট মানবশরীরে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার বিপদ বাড়িয়ে দেয়, কোষগুলির ক্ষতি করে কী ভাবে, তার কোনও সদুত্তর মিলছিল না। ফলে, সেই সন্দেহকে মূলধন করেই কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্তদের রেড মিট কম পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এর পরেও অনেক বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক এখনও মানতে রাজি হননি, রেড মিট খাওয়ার অভ্যাসের সঙ্গে কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুর কোনও যোগসাজশ রয়েছে। এই গবেষণা সেই বিভ্রান্তি, সন্দেহ, সংশয় দূর করল।
গবেষণা জানাল, খুব বেশি পরিমাণে রেড মিট খাওয়া মানব দেহকোষের ডিএনএ-র বিপুল ক্ষতি করে। তার ফলে, কোষগুলির স্বাভাবিক কাজকর্ম তো ব্যাহত হয়ই, তাদের আশপাশে ক্যানসার কোষ গড়ে ওঠে আর দ্রুত সেগুলির বাড়-বৃদ্ধি ঘটতে থাকে।
মূল গবেষক, আমেরিকার বস্টনে্র ডানা-ফার্বার ক্যানসার ইনস্টিটিউটের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ মারিয়োস গিয়ান্নাকিস বলেছেন, “কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত ৯০০ রোগীকে সম্প্রতি আমরা পরীক্ষা করেছি। তার আগে ২ লক্ষ ৮০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকেও পরীক্ষা করা হয়েছিল। আমরাই বিশ্বে প্রথম দেখাতে পেরেছি, খুব বেশি পরিমাণে রেড মিট খেলে তা মানব দেহকোষের ডিএনএ-র ক্ষতি করে। যার নাম- ‘অ্যালকাইলেশন’। দেখেছি, প্রসেসড বা প্রসেসড নয় এমন রেড মিট বেশি পরিমাণে খেলেই ডিএনএ-র অ্যালকাইলেশন বেশি হচ্ছে। যাঁরা পোল্ট্রির ডিম, মাছ বা অন্য ধরনের খাবার খেতে বেশি অভ্যস্ত তাঁদের ক্ষেত্রে এই অ্যালকাইলেশন হচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy