Advertisement
E-Paper

খোঁজ মিলল নয়া আকার স্কাটয়েডের

কোষগুলি যে একেবারে গায়ে গায়ে লেগে থাকে, দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে তার নির্দিষ্ট আকার দেয়— তার মূলে এই স্কাটয়েড। নামটা  তৈরি হয়েছে, ইংরেজি ‘স্কাট’ অর্থাৎ ছোট খাড়া লেজ থেকে। 

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৮ ০১:৫৯

স্কাটয়েড! ত্রিমাত্রিক নতুন এই আকারের হদিস পেলেন বিজ্ঞানীরা। নেচার, নিউ সায়েন্টিস্টের মতো বেশ কিছু পত্রিকায় সম্প্রতি এ সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা হয়েছে। মজার কথা হল, আকারটিকে ভাষায় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে তাবড় বিজ্ঞানীদেরও। কেউ বলছেন, এটা প্যাঁচানো প্রিজম। কেউ বলছেন, ওতে পুরোটা বলা হল না।

আকারটা ভাবা হয়েছিল কম্পিউটারে। কিন্তু খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, প্রকৃতির পাঠশালায় যুগ যুগ ধরেই রয়েছে তা। শুধু ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া’। তা-ও একটি-দু’টি নয়, রয়েছে অসংখ্য স্কাটয়েড। অনুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখা ত্বকের কোষই হোক বা আশপাশে উড়ে আসা গুবরে পোকা— সবেতেই আছে এই আকার। খেলার বল, লুডোর ছক্কা, ইট থেকে পিরামি়ড— সবেরই মূলে গোলক ঘনক বা প্রিজমের মতো ত্রিমাত্রিক কিছু আকার। আবার একটি মাত্র কোষ ভাগ হতে হতে গোটা একটা মানুষ বা গাছ তৈরি হয়। তাতেও আকারের প্রশ্নটা খুবই বড়। কোষগুলি যে একেবারে গায়ে গায়ে লেগে থাকে, দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে তার নির্দিষ্ট আকার দেয়— তার মূলে এই স্কাটয়েড। নামটা তৈরি হয়েছে, ইংরেজি ‘স্কাট’ অর্থাৎ ছোট খাড়া লেজ থেকে।

অনেক জিনিসকে এক জায়গায় সাজিয়ে রাখা তথা ‘প্যাকেজিং’ বরাবরই একটা বড় চ্যালেঞ্জ মানুষের কাছে। কী ভাবে রাখলে কম জায়গা লাগবে, কেমন ভাবে সাজালে প্রয়োজন মতো কোনও জিনিস বার করতে বা আরও জিনিস রাখতে সুবিধা হবে, কোনও অংশে বেশি চাপ পড়বে না ভেঙে যাবে না— এমন অজস্র প্রশ্ন সামলাতে হয় প্যাকেজিং শিল্পকে। প্রকৃতি কিন্তু দারুণ ভাবেই সামলে এসেছে বিষয়টা, তা-ও জীব বিবর্তনের সেই প্রথম পর্ব থেকেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, থ্যাঙ্ক ইউ প্রকৃতি! প্যাকেজিং সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হাতে চলে এসেছে।

Scutoid new shape
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy