Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
NASA

আকাশের কোন দিকে তাকাবেন? আজই শনি বৃহস্পতির ‘মহা সংযোগ’

গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ১৩ বছর পর, অর্থাৎ ১৬২৩ সালে শেষ বার এই দুই গ্রহকে এত কাছাকাছি দেখা গিয়েছিল।

গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ১৩ বছর পর, অর্থাৎ ১৬২৩ সালে শেষ বার এই দুই গ্রহকে এত কাছাকাছি দেখা গিয়েছিল। প্রতীকী চিত্র

গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ১৩ বছর পর, অর্থাৎ ১৬২৩ সালে শেষ বার এই দুই গ্রহকে এত কাছাকাছি দেখা গিয়েছিল। প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ১২:০৭
Share: Save:

২১ ডিসেম্বর, ২০২০। সন্ধ্যা ৫.২০ থেকে ৬.২০। ৩৯৭ বছর পরে এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে বিশ্ব। একেবারে কাছাকাছি আসতে চলেছে বৃহস্পতিশনিগ্রহ। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হচ্ছে ‘মহা সংযোগ’। গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ১৩ বছর পর, অর্থাৎ ১৬২৩ সালে শেষ বার এই দুই গ্রহকে এত কাছাকাছি দেখা গিয়েছিল।

ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের প্রধান সন্দীপ চক্রবর্তী জানালেন, ‘‘এ এক বিরলতম ঘটনা। শনি ও বৃহস্পতির মধ্যে দূরত্ব ৭৬ কোটি কিলোমিটার। দু’টি গ্রহই নিজের নিজের কক্ষপথে ঘুরে চলেছে। কিন্তু নিজের কক্ষপথে খাকাকালীন কেউ পূর্বে থাকে, তো কেউ পশ্চিমে থাকে। এই প্রথম তারা এক জায়গায় আসছে। এদের দূরত্ব একই থাকছে। কিন্তু এরা ধরা পড়তে চলেছে একই দৃষ্টিপথে। যাকে বলা চলে ‘মহা সংযোগ’।’’

নাসা-র ওযেবসাইটে তো রয়েছেই, সন্দীপ চক্রবর্তী সহজে বোঝানোর জন্য উদাহরণ দিলেন একটি রেস ট্র্যাকের। তিনি বললেন, “ধরে নেওয়া যাক, দু’জন মানুষ দু’টি ভিন্ন রেস ট্র্যাকে ঘুরছে। একটি নির্দিষ্ট সময় ছাড়া এই দু’জনকে আমরা একসঙ্গে দেখতে পাব না। ২১ ডিসেম্বর সেই সময়টি। আমরা দেখতে পাব, নিজের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতেই কী করে এক রেখায় চলে এল দুই গ্রহ।”

সাধারণত শনি ও বৃহস্পতি দু’টি গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অত্যন্ত বেশি। সেই কারণে গ্রহাণু হামলার হাত থেকে তারাই ছাতার মতো রক্ষা করে পৃথিবীকে। এই দুই গ্রহ নিজের শক্তির জোরে বেশির ভাগ গ্রহাণুকে নিজের দিকে টেনে নেয়। তারাই একসঙ্গে আসছে। এর সরাসরি প্রভাব পৃথিবীতে পড়বে না। শুধু উৎসাহী জনতা চাইলেই সন্ধ্যায় চোখে টেলিস্কোপ লাগিয়ে দেখতে পারেন এই দুই গ্রহের অবস্থান।

ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স কলকাতায় বাইপাসের ধারে তাদের সংস্থার ছাদে এই মহাজাগতিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করার জন্য আলাদা করে একাধিক টেলিস্কোপের ব্যবস্থা করেছেন। কারণ, এমন সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যায় না সব সময়। ২১ ডিসেম্বর দিনটি সবচেযে ছোট। দ্রুত রাত হবে। ফলে আকাশে ফুটে উঠবে দু’টি গ্রহ। মানুষ পরিষ্কার আকাশে দু’টিকেই পিঠোপিঠি দেখতে পাবেন। বৃহস্পতি আর শনি ধরা পড়বে এক ফ্রেমে।

বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের ডিরেক্টর দেবীপ্রসাদ দুয়ারী জানালেন, ‘‘গত ৩৯৭ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। সেই কারণেই সারা পৃথিবীর ছাত্র, ছাত্রী, বিজ্ঞানীদের মধ্যে উৎসাহের অভাব নেই। সোমবার সূর্যা্স্ত হবে ৪.৫৭ মিনিটে। সূর্যের আলো যখন স্তিমিত হবে তখনই দক্ষিণ-পশ্চিম দিগন্ত রেখার উপরে দেখা যাবে এই মহাজাগতিক মিলন। দেখে মনে হতে পারে, দু’টি নয়, একটি জ্যোতিষ্ক দেখা যাচ্ছে। কিন্তু টেলিস্কোপ ব্যবহার করলেই দেখা যাবে, বেশ উজ্জ্বল বৃহস্পতি ও একটু কম উজ্জ্বল শনিগ্রহকে।’’

আরও পড়ুন: ৪০০ বছর পার করে মহাকাশে আজ আরও কাছাকাছি ‘দুই দাদা’

আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নয়া করোনা স্ট্রেন নিয়ে জরুরি বৈঠক তলব স্বাস্থ্যমন্ত্রকের​

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NASA Jupiter Saturn
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE