যে সময় ভারী বর্ষণ হওয়ার কথা সে সময়ে আকাশে মেঘের আভাস পর্যন্ত নেই। আবার যে সময়ে শীত পড়ব পড়ব করছে সে সময় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি পড়ল। মাঘে তীব্র শীত নেই, অথচ ফাল্গুন মাস কাঁপিয়ে দিল। আবহাওয়ার বদলে যাওয়া ধরনের সঙ্গে তাল রাখতে না পেরে ইদানিং পূর্বাভাস দিতে নাকানি চোবানি খাচ্ছিলেন আবহবিদেরা। কী ভাবে বদলে যাওয়া আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পূর্বাভাস দেওয়া যায় তার উপায় বের করতে কাল, সোমবার থেকে পুণেতে বৈঠকে বসছেন আবহবিদেরা।
আবহবিদেরা বলছেন, শুধু ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসেই এখন আর মৌসম ভবন থেমে নেই। পর্যটন কিংবা তীর্থযাত্রার ক্ষেত্রেও আবহাওয়ার আগাম খবর দিতে হয় তাদের। এমনকী, বাতাসে ধূলিকণা বা জলীয় বাষ্প বাড়ছে কি না, সে ধরনের কাজও মৌসম ভবন করছে। ফলে আগামী দিনে কোনও এলাকায় দূষণ বাড়বে কি না, সে ধরনের পূর্বাভাসও জারি করা হতে পারে। মৌসম ভবনের অধিকর্তা লক্ষ্মণ সিংহ রাঠৌরের নেতৃত্বে দু’দিন ধরে এ সব বিষয় নিয়েই আলোচনা করবেন আবহবিদেরা।
আরও পড়ুন- এত সোনা কে আনল এখানে? কী ভাবে এল এত গুপ্তধন?
মৌসম ভবনের এক কর্তা বলেন, ‘‘আবহাওয়ার বদল মেনেই পূর্বাভাস দেওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। তাই আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণ বাড়াতে আঞ্চলিক স্তরে আরও আবহাওয়া কেন্দ্র খোলা যায় কি না তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে আলোচনা চলছে। যে ভাবে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, বর্ষার ধরণ বদলে যাচ্ছে তাতে আমাদের পূর্বাভাস আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। না হলে কৃষকেরা বিভ্রান্ত হতে পারেন।’’ কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানান, তাপপ্রবাহ কিংবা শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা দেওয়া হয়। কিন্তু তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সতর্কতা বা পরামর্শ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা হবে পুণেতে।’’