Advertisement
E-Paper

ল্যাবরেটরি থেকে উধাও হয়ে গেল বহু কষ্টে তৈরি ধাতব হাইড্রোজেন

হঠাৎ করে কোথায় যেন উধাও হয়ে গেল পদার্থের সেই সদ্য আবিষ্কৃত এক ‘আজব’ অবস্থা! যথেষ্টই অবাক হতে হয়েছিল মেটালিক হাইড্রোজেন বা ধাতব হাইড্রোজেনের অস্তিত্বের কথা জেনে। আর আজ আমাদের আরও বেশি অবাক হতে হয়েছে, সেই সদ্য আবিষ্কৃত এক ‘অদ্ভুত অবস্থার’ পদার্থের ‘স্যাম্পল’টি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগার থেকে উবে গিয়েছে, উধাও হয়ে গিয়েছে শুনে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৭ ১৭:৫৬
সেই ধাতব হাইড্রোজেন।

সেই ধাতব হাইড্রোজেন।

হঠাৎ করে কোথায় যেন উধাও হয়ে গেল পদার্থের সেই সদ্য আবিষ্কৃত এক ‘আজব’ অবস্থা!

আজন্ম, আশৈশব যে পদার্থটিকে আমরা অধাতু বা নন মেটাল বলে জানতাম, এই সে দিন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদন বিজ্ঞানী জানিয়েছিলেন, তাকে ধাতু বা মেটাল হতে বাধ্য করা হয়েছে। এ যেন এক শ্বেতাঙ্গকে ‘এক দিন অচানক’ কৃষ্ণাঙ্গ বানিয়ে ফেলা!

যথেষ্টই অবাক হতে হয়েছিল মেটালিক হাইড্রোজেন বা ধাতব হাইড্রোজেনের অস্তিত্বের কথা জেনে। আর আজ আমাদের আরও বেশি অবাক হতে হয়েছে, সেই সদ্য আবিষ্কৃত এক ‘অদ্ভুত অবস্থার’ পদার্থের ‘স্যাম্পল’টি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগার থেকে উবে গিয়েছে, উধাও হয়ে গিয়েছে শুনে।

আরও পড়ুন- এই ভারতীয় না থাকলে নতুন ৭ ‘পৃথিবী’র হদিশ মিলত কি?

প্রায় ৮০ বছর ধরে এই ধাতব হাইড্রোজেন বানানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, বিদ্যুৎ সহ শক্তি পরিবহণে অসম্ভব রকমের দ্রুত ও দক্ষ হয় এই ধাতব হাইড্রোজেন। অত্যন্ত উচ্চ চাপ আর অত্যন্ত কম তাপমাত্রায় হাইড্রোজেনকে এই অবস্থায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানুয়ারিতেই ঘোষণা করেছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। আগামী দিনে ওই পদার্থটি দিয়ে রকেটের বিকল্প জ্বালানি বা খুব ভাল বিদ্যুৎ পরিবাহী তার বানানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন গবেষকরা। যদিও ওই আবিষ্কারটি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছিল সমালোচনাও। আরও আরও পরীক্ষানিরীক্ষার দাবি উঠেছিল। তার জেরে কিছু দিন ওই সদ্য আবিষ্কৃত ধাতব হাইড্রোজেনের ‘স্যাম্পল’টি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা বন্ধ রেখেছিলেন গবেষকরা। তার পর গতকালই নতুন করে পরীক্ষানিরীক্ষার তোড়জোড় শুরু হয়। আর তা করতে গিয়েই দেখা যায়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারের যে-জায়গায় ওই ধাতব হাইড্রোজেনের ‘স্যাম্পল’টি রাখা ছিল, তা উধাও হয়ে গিয়েছে।

মূল গবেষক আইজ্যাক সিলভেরা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘হয় ওই পদার্থটি ঘরের স্বাভাবিক চাপে হারিয়ে গিয়েছে বা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় তা গ্যাসীয় অবস্থায় পৌঁছে উধাও হয়ে গিয়েছে। এখনও আমরা নিশ্চিত নই। ওই পদার্থটি আমাদের চুলের থেকেও সরু। যা ০.০০১৫ মিলিমিটার পুরু আর যার ব্যাস ০.০১ মিলিমিটার। আর যে চাপে ওই ধাতব হাইড্রোজেন বানানো হয়েছিল, সেই চাপে হীরকখণ্ড ভেঙে টুকরো করা যায়।’’

Metallic Hydrogen Harvard University States of Matter
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy