জঙ্গল থেকে বেরিয়ে দামোদর ও শালি নদী তীরবর্তী গ্রামে তাণ্ডব শুরু করেছে হাতির দল। বৃহস্পতিবার ভোরে পাত্রসায়রের বন বীরসিংহের জঙ্গল থেকে ৮টি হাতির একটি দল নারায়ণপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ঢুকে পড়ে। পথে এ দিন দুপুর সাড়ে তিনটের সময় রামপুরের নতুনবাজারের কাছে হারু লোহার (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে সামনে পেয়ে একটি দাঁতাল তাঁর দিকে তেড়ে যায়। পাত্রসায়রের চাঁপাবনি গ্রামের হারুবাবু তখন ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হাতিটি তাঁকে শুঁড়ে পাকিয়ে আছড়ে ফেলে দেয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে পাত্রয়াসর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কিছু পরেই মৃত্যু হয়। এতে হাতিদের নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাসিন্দারা হাতিগুলিকে অবিলম্বে এলাকা থেকে সরানোর দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।
এ দিন সকাল থেকেই এলাকায় ঢুকে হাতির দল স্থানীয় রায়খাঁ, ধারিমপুর, মুড়োপাড়া-সহ কয়েকটি গ্রামের ধানজমি নষ্ট করে। খবর পেয়ে পাত্রসায়র থানার পুলিশ ও বনকর্মীরা এলাকায় যান। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভোরে ময়রাপুকুর, রোলনগর হয়ে হাতির ওই দলটি নারায়ণপুর অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। দুপুর পর্যন্ত হাতির দলটি রায়খাঁ ও মুড়োপাড়া গ্রামের মাঝে জমিতে ছিল। গ্রামবাসী উজ্জ্বল রায় বলেন, “ভোর থেকেই হাতির ওই দলটিকে মাঠে দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় বহু চাষির জমিতে নেমে হাতিরা ক্ষয়ক্ষতি করেছে। একজনের শ্যালো পাম্প মেশিনও ভেঙে দিয়েছে।” পাত্রসায়রের রেঞ্জ আধিকারিক হরেন্দ্রনাথ বাউরি বলেন, “রেসিডেন্ট হাতির ওই দলে শাবক ও দাঁতাল-সহ মোট ৮টি হাতি রয়েছে। হাতিদের দেখতে গ্রামের বহু মানুষ ভিড় করছেন। এতে হাতিদের নির্দিষ্ট পথে ফেরাতে অসুবিধা হচ্ছে। হাতিদের উত্যক্ত না করার জন্য গ্রামবাসীকে বলা হয়েছে।” তিনি জানান, হাতিরা যাতে দামোদর পেরিয়ে বর্ধমানে ঢুকে পড়তে না পারে, সে জন্য বনকর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। হাতিদের লোকালয় থেকে সরিয়ে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে বলে রেঞ্জ আধিকারিক জানিয়েছেন।