Advertisement
E-Paper

স্বর্গদ্বারে বৈদ্যুতিক চুল্লি চাই পনেরো দিনে

পুরীর দূষণ নিয়ে আগেই পরিবেশ আদালতে ভর্ৎসিত হয়েছে ওড়িশা সরকার। এ বার কাজ শেষ করার নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দিল আদালত। তার মধ্যে কাজ শেষ করতে না-পারলে জরিমানা দিতে হবে সরকারকেই। জাতীয় পরিবেশ আদালতের চেয়ারপার্সন, বিচারপতি স্বতন্ত্র কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার নির্দেশ দিয়েছে, পুরীর স্বর্গদ্বার শ্মশানে ১৫ দিনের মধ্যে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসাতে হবে ওড়িশা সরকারকে। সময়সীমার মধ্যে সেই কাজ না-হলে ওই রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য-সচিব এবং এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকেই দূষণ সংক্রান্ত জরিমানা আদায় করা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:০৭

পুরীর দূষণ নিয়ে আগেই পরিবেশ আদালতে ভর্ৎসিত হয়েছে ওড়িশা সরকার। এ বার কাজ শেষ করার নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দিল আদালত। তার মধ্যে কাজ শেষ করতে না-পারলে জরিমানা দিতে হবে সরকারকেই।

জাতীয় পরিবেশ আদালতের চেয়ারপার্সন, বিচারপতি স্বতন্ত্র কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার নির্দেশ দিয়েছে, পুরীর স্বর্গদ্বার শ্মশানে ১৫ দিনের মধ্যে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসাতে হবে ওড়িশা সরকারকে। সময়সীমার মধ্যে সেই কাজ না-হলে ওই রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য-সচিব এবং এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকেই দূষণ সংক্রান্ত জরিমানা আদায় করা হবে।

বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই বেরিয়ে এলাকায় নদী-দূষণ ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে জাতীয় পরিবেশ আদালতের কলকাতা বেঞ্চে মামলা করা হয়েছিল। এ রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সমীক্ষায় সেই ছাই থেকে নদীর দূষণ প্রমাণিত হয়। তার মোকাবিলায় নদী থেকে ছাই তুলে ফেলার জন্য বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমকে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বিচারপতি প্রতাপ রায় এবং পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। এ বার পুরীর দূষণ রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একই সময়সীমা পেল পড়শি রাজ্য।

পুরীর সমুদ্রসৈকতে অবৈধ নির্মাণ এবং সামগ্রিক ভাবে ওই শহরের দূষণ নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। গত সপ্তাহে সেই মামলায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ওড়িশা সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল আদালত। এ দিন ওড়িশার পক্ষ থেকে আদালতে রিপোর্ট পেশ করা হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট দেখে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। সুভাষবাবু বলেন, “রিপোর্টটি অসম্পূর্ণ, অস্পষ্ট এবং অনির্দিষ্ট বলে আদালত মন্তব্য করেছে।” অন্যান্য কারণ ছাড়াও পুরীর দূষণের পিছনে বহু অবৈধ হোটেল নির্মাণ দায়ী বলে পরিবেশবিদেরা আগেই জানিয়েছেন। নিয়মবিধি ভেঙে কী ভাবে ওই সব হোটেল গজিয়ে উঠল এবং সেগুলো গড়ে তোলার ছাড়পত্র কোন আধিকারিকেরা দিলেন, তা জানার জন্য পুরসভা এবং সরকারি কর্তা ছাড়াও সেখানকার সব হোটেলের প্রতিনিধিদের তলব করা হয়েছিল। দূষণ রোধে সময়সীমা বেঁদে পরিবেশ আদালত এ দিন নির্দেশ দিয়েছে, পুরীর সৈকতের কাছে ৩২টি অবৈধ নির্মাণ অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে হবে।

সুভাষবাবুর অভিযোগ, পুরীর সৈকতের কাছে বহু হোটেলই তৈরি করা হয়েছে উপকূলবিধি ভেঙে। উপকূলবিধি কোথায় কোথায় লঙ্ঘন করা হয়েছে, তা নিশ্চিত ভাবে জানার জন্য উপগ্রহ-মানচিত্র তৈরি করতে হবে বলেও আদালত এ দিন নির্দেশ দিয়েছে। তাদের অনুমতি ছাড়া দূষণ প্রতিরোধের কাজে টাকা খরচ করার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পরিবেশ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।

সুভাষবাবু জানান, অবৈধ হোটেল নির্মাণ এবং স্বর্গোদ্বার শ্মশানে কাঠের চুল্লির সঙ্গে সঙ্গে পুরীর নিকাশি ব্যবস্থাও পরিবেশ-সহায়ক নয়। এ ব্যাপারেও এ দিন কড়া নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত। তারা বলেছে, ওড়িশার দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, ওড়িশার পরিবেশ সচিব এবং কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত একটি কমিটিকে পুরীর সব হোটেল নিয়ে সমীক্ষা চালাতে হবে। কোন কোন হোটেলের নির্দিষ্ট সেপটিক ট্যাঙ্ক রয়েছে, কাদের নেই, কার নিকাশি ব্যবস্থা কতটা পরিবেশ-সহায়ক, হোটেলের নিকাশি ব্যবস্থা থেকে সমুদ্রে দূষণ হচ্ছে কি না এ-সবই খতিয়ে দেখতে হবে ওই কমিটিকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী বছরের ১৯ জানুয়ারি।

green tribunal environmental court puri swargadwar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy