Advertisement
E-Paper

আপনার বয়ফ্রেন্ড ইমম্যাচিওর? জেনে নিন কী কী আচরণ দেখে বুঝবেন

আপনার বয়ফ্রেন্ড কি আপনাকে বুঝতে পারেন? খুব বেশি ঝগড়া হয়? সম্পর্কের সব দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হয়। তবে কিন্তু বিয়ের আগে অবশ্যই দ্বিতীয় বার ভেবে দেখুন। এই ধরনের আচরণ ইমম্যাচিওরিটির লক্ষণ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৬:০৫

আপনার বয়ফ্রেন্ড কি আপনাকে বুঝতে পারেন? খুব বেশি ঝগড়া হয়? সম্পর্কের সব দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হয়। তবে কিন্তু বিয়ের আগে অবশ্যই দ্বিতীয় বার ভেবে দেখুন। এই ধরনের আচরণ ইমম্যাচিওরিটির লক্ষণ। তাই এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার থেকে বেরিয়ে আসাই ভাল। জেনে নিন কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার বয়ফ্রেন্ড ইমম্যাচিওর।

১। বিবেচনার অভাব- আপনার বয়ফ্রেন্ড কি সব দিক বিবেচনা করে কাজ করেন? কোনও কাজ করার আগে বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্যদের দিকটাও ভাবেন কি? এ রকম আচরণ কিন্তু ইমম্যাচিওরিটির লক্ষণ। সম্পর্কের কিছু দায়িত্ব থাকে। এই ধরনের আচরণ দায়িত্ব বোধের অভাব বোঝায়।

২। আপনার মুড অফ থাকলে- কোনও কারণে যদি আপনার মুড অফ থাকে, কিছু ভাল না লাগে বা মন খারাপ হয় তা হলে উনি কেমন আচরণ করেন? অবসাদের সময়ে আপনাকে বুঝতে পারেন? এই সময়গুলোই কিন্তু বোঝাপড়া তৈরি করে। মন খারাপ থাকলে যদি উনি আপনাকে গুরুত্ব দেন, বোঝার চেষ্টা করেন, তা হলে বুঝতে হবে আপনি সঠিক মানুষের সঙ্গে রয়েছেন। কিন্তু যদি আপনাকে না বুঝতে পারেন, এমন কিছু করেন যাতে আপনার আরও মুড অফ হয়ে যায়, তা হলে বুঝতে হবে উনি এখনও অতটা পরিণত নন।

৩। দায় এড়ানো- ঝগড়া হলে কি উনি সব সময় আপনার ঘাড়ে দোষ চাপান? একে অন্যকে দোষারোপ সম্পর্ক বিষিয়ে দেয়। যদি দেখেন উনি সব সময় আপনাকেই দোষী করছেন, নিজে কোনও ভাবেই দায় নিচ্ছেন না বা ভুল বুঝতে পারছেন না, তা হলে অবশ্যই আপনার বয়ফ্রেন্ডটি ইমম্যাচিওর।

৪। অযথা রাগানোর চেষ্টা- উনি কি আপনাকে অযথা রাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন? এমন কাজ বার বার করেন যাতে আপনি রেগে যান বা আপনি পছন্দ করেন না। কোনও মহিলার সঙ্গে অযথা ফ্লার্ট করেন যাতে আপনি বিরক্ত। অপরিণত মানুষরা গুরুত্ব পাওয়ার জন্য এই কাজগুলো করে থাকেন। সঙ্গী যে এতে কতটা বিরক্ত হন তা এরা বোঝেন না।

৫। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো- সম্পর্কে থাকতে হলে একে অপরকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। ইমম্যাচিওর মানুষরা এটা বোঝেন না। যদি দেখেন আপনার সঙ্গী আপনার সঙ্গে সময় কাটানোর থেকে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে বেশি আগ্রহী, তা হলে বুঝতে হবে উনি এখনও সিরিয়াস সম্পর্কে থাকার মতো ম্যাচিওর নন।

৬। নিজের কাজ নিজে করতে না পারা- পরিণত, দায়িত্বশীল মানুষরা নিজেদের কাজ নিজেরা বুঝে নিতে পারেন। নিজেদের দায়িত্ব নিতে পারেন। আপনার সঙ্গীর কি সব কিছুতেই আপানর সাহায্য প্রয়োজন হয়? উনি কি নিজেকে সামলাতে পারনে ঠিকঠাক? না কি একা কিছু করতে হলেও ভুলভাল করে ফেলেন? সম্পর্কে প্রথম দিকে এটা অনেকের ভাল লাগে। নিজেকে অন্যের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে এটা বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। এটা চরম ইমম্যাচিওরিটির লক্ষণ।

৭। কথা না বলা- ঝগ়়ড়া হলে উনি কী করেন? নিজের কথা, ভাবনা আপনাকে বোঝাতে চেষ্টা করেন না কি পুরোপুরি কথা বলা বন্ধ করে দেন? ইমম্যাচিওর মানুষরা এটা করেই থাকেন। কথা বলা বন্ধ করে দিলে ঝামেলা তো মেটেই না বরং তা আরও জটিল হয়।

৮। হুক আপ- সব সম্পর্কেই কিছুটা সময় মজা করে কাটানো উচিত্, সেক্সের জন্য সময় দেওয়া উচিত্। কিন্তু সিরিয়াস সম্পর্কে আরও অনেক কিছু প্রয়োজন। দু’জনে এক সঙ্গে কাজ করা, একে অপরকে বোঝার জন্য সময় দেওয়া প্রয়োজন। যদি দেখেন আপনার বয়ফ্রেন্ড সব সময় মজা করেই সময় কাটাতে চাইছেন, সেক্সের ছুতো খোঁজেন তবে মোটেই ভাল লক্ষণ না।

৯। জীবনে লক্ষ্যের অভাব- আপনার বয়ফ্রেন্ডের জীবনে কি কোনও লক্ষ্য রয়েছে? নিজের পায়ে দাঁড়ানো, কেরিয়ার তৈরি করা, জীবনে দায়িত্ব নেওয়া এ সব নিয়ে ভাবেন উনি? নাকি শুধুই মজা করে আলস্যে সময় কাটান? এমনটা হলে কিন্তু চিন্তার বিষয়।

১০। কে কী বলছে- উনি কি সব সময় অন্যেরা কী ভাবছেন, তাই নিয়ে চিন্তিত? নিজের ইমেজ নিয়ে, অন্যরা ওনাকে নিয়ে কী ভাবছেন তা নিয়ে ভাবতে থাকেন তা হলে ইমম্যাচিওরিটির লক্ষণ স্পষ্ট। আত্মবিশ্বাসের অভাব, কনফিউজড চরিত্রের পরিচয় এটা।

boyfriend relationship lifestyle
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy