মেয়েরা আবার অফিস-কাছারি করবে নাকি? সাত সাতটা পাক দিয়ে বৌ এনেছি দাদা। বৌ যদি বাইরের কাজ করবে তা হলে ঘর কে সামলাবে?
হ্যাঁ, এখনও এমন অনেকেই আছেন যাঁদের ধারণা মেয়েদের জন্মই হয়েছে তাঁর এবং পরিবারের সেবা করার জন্য। ‘গৃহবন্দি’ থেকে দিন রাত সংসারের ফাই-ফরমাশ খাটবে আর কি! বৌ কাঁধে ব্যাগ নিয়ে অফিস যাবে তা কখনওই মেনে নিতে পারেন না তাঁরা। এক কথায় মেয়েদের স্বনির্ভরতা মানা তাঁদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। কিন্তু গবেষণা বলছে, মেয়েরা স্বনির্ভর হলে আখেরে তাঁদেরই লাভ। কারণ ওয়ার্কিং মহিলারাই নাকি সংসারের প্রতি অনেক বেশি যত্ন নিতে পারেন। কেন?
১) বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্মরতা মহিলারা কম অবসাদে ভোগেন। আর মা মানসিক ভাবে সুস্থ থাকলে সন্তানদের বিকাশে তার প্রভাব পড়বেই।
২) মেয়েদের নাকি ঘরেই মানায়। এই ভুল ধারণা কিন্তু এখনও আছে। ছোটবেলা থেকে যদি কেউ তার মাকে শুধুমাত্র ঘরকন্যার কাজ করতেই দেখে তো এই ধারণা তারও হবে বৈকি। মা যদি ওয়ার্কিং হন। এই শিশুদের মধ্যে এই ধারণা জন্মাবে না। বিশেষ করে মাকে দেখে তারও স্বনির্ভর হওয়ার ইচ্ছে জন্মাবে।
৩) চাকরি করার সুবাদে হয়তো বাড়িতে ততটা সময় দিতে পারেন না মায়েরা। তবে যেটুকু সেময় বাড়িতে থাকেন তাঁরা কিন্তু ১০০% বাড়িতেই দেন। কারণ তাঁরা জানেন, এই সময় মোবাইল, ল্যাপটপে ব্যস্ত থাকাটা একদমই উচিত হবে না।
৪) সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, বাড়িতে বেশি সময় না থাকার কারণে ওয়ার্কিং মহিলারা সারা ক্ষণ বাচ্চাদের পড়াশোনার উপর নজর রাখতে পারেন না। আর এর সুবিধা হল, শৈশবটা তাদের খেলাধূলোর মধ্যেই কাটে। ফলে মানসিক ও স্বাস্থ্যের বিকাশ এবং স্কুলে ভাল রেজাল্ট করা।
৫) সবশেষে নিজের প্রয়োজনে স্বামীর উপর নির্ভর করতে তো হবেই না উল্টে তিনি পরিবারকেও আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy