জুমেলির কথা মনে আছে? নিজের সন্তানকে দুধে ভাতে রাখার জন্য টাকার বিনিময়ে অন্যের বাচ্চাকে নিজের বুকের দুধ খাওয়াতো সে। আর জুমেলির ঘরের বাইরে বাচ্চা নিয়ে লাইন দিয়ে থাকত অসংখ্য মায়েরা। সেই মায়েরা, যাঁরা মাতৃদুগ্ধের অন্যতম ‘বিকল্প’ গরুর দুধের দিকে যাননি। উল্টে যাঁরা নিজেদের বিকল্প খুঁজে পেয়েছিলেন জুমেলির মধ্যে। কারণ তাঁরা জানতেন, শিশুর জন্য মায়ের দুধের কোনও বিকল্প হয় না। তবে বস্তারের মতো সব গ্রামের মায়েদের কাছে জুমেলি নেই। তাই একান্ত বাধ্য হয়েই প্রয়োজনে তাঁদের ‘বিকল্প’ হিসেবে গরুর দুধের উপরই ভরসা করতে হয়।
কিন্তু গরুর দুধ কি আদৌ শিশুর জন্য উপকারী? সেই ধারণারই সামান্য রদবদল এনেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গরুর দুধ নয়, বরং শিশুর জন্য মাতৃদুগ্ধের ‘বিকল্প’ হতে পারে নারকেল দুধ।
কারণ, গরুর দুধে ল্যাকটোজ রয়েছে। যা অনেকেই সহজে হজম করতে পারে না। শিশুদের পক্ষেও সহজপাচ্য নয়। নারকেলের নির্যাস বা দুধে ল্যাকটোজ থাকে না। কোলস্টেলরও নেই। উল্টে প্রতি ১০০ মিলিলিটারে ৭৫ কিলো ক্যালোরি এনার্জি মিলবে। কার্বোহাইড্রেট ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ। আমেরিকার এক দল বিজ্ঞানী নারকেল দুধের এই উপকারিতার কথা সামনে আনেন। তবে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামে মাতৃদুগ্ধের বিকল্প হিসেবে নারকেল দুধের প্রচলন অনেক আগে থেকেই আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy