দু’বেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করার তাগিদে কোনও রকম স্বাস্থ্য সচেতনতা ছাড়াই ফার্টিলিটি ক্লিনিকগুলিতে নিজেদের ডিম্বাণু বেচছেন তেলেঙ্গনার কলেজ ছাত্রীরা। হামেশাই তাঁরা এই সব ক্লিনিকগুলোর দালালদের খপ্পরে পড়ছেন। তাঁরা জানছেনও না দিনের পর দিন কোনও রকম যথাযথ পদ্ধতি এবং প্রোটেকশন ছাড়াই এ ভাবে ডিম্বাণু বেচে দেওয়ার ফলে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে তাঁদের স্বাস্থ্যে!
এই ছাত্রীরা মূলত তেলেঙ্গনার নালগোন্ডা জেলার দেবরকোন্ডা, আদিবাসী অধ্যুসিত অঞ্চল মেহবুব নগর, ওয়ারানঙ্গান এবং করিমনগরের বাসিন্দা। এমনিতেই দারিদ্র এই অঞ্চলের মানুষগুলোর নিত্যদিনের সঙ্গী। তার উপর টানা খরায় আরও বেড়েছে দুর্দশা। ফলে সেখানকার অল্পবয়সী মেয়েদের সহজেই লোভ দেখিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে এই পেশায় নিয়ে আসছে বিভিন্ন ফার্টিলিটি ক্লিনিকের দালালরা।
তবে ডিম্বাণু দাত্রীদের নির্বাচনের ব্যাপারে বেশ ‘নাক উঁচু’ ওই ফার্টিলিটি ক্লিনিকগুলি। গায়ের রং, শারীরিক গঠন, সুস্থতা এবং ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে চলছে ঝাড়াই বাছাই। কম সময়ের মধ্যে বেশি সংখ্যক ডিম্বাণু পাওয়ার লোভে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই ডিম্বাণু দাত্রী দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন হরমোনাল ইঞ্জেকশন। খাওয়ানো হচ্ছে ওষুধ।
কিন্তু, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা এই পেশা বেছে নিচ্ছেন তাঁদের উপার্জন কত? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমনই এক কলেজ পড়ুয়া জানিয়েছেন, মাস গেলে তাঁর পকেটে ঢোকে মাত্র ১০ হাজার টাকা।
ম্যাক্সকিউর হাসপাতালের চিকিত্সক অজ্ঞানি মনুজা জানিয়েছেন, অবৈজ্ঞানিক ভাবে লাগাতার এই রকম হরমোন থেরাপির ফলে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে এই ছাত্রীদের শরীরে। ভবিষ্যতে তাঁদের মা হওয়ার সময় প্রাণঘাতী সমস্যাও হতে পারে। কিন্তু, কী ভাবে মিটবে এই সমস্যা? তার কোনও জবাবই এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন-ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে ভুগছেন না তো? জেনে নিন প্রাথমিক লক্ষণ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy