পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি মা হওয়া। আনন্দ, পরিপূর্ণতায় এই সময়টা জীবনের সেরা সময় হয়ে ওঠে। নিজের শরীরে প্রাণের সঞ্চার, শিশুর ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠার অনুভূতির পর হঠাত্ গর্ভাবস্থা ডুবিয়ে দেয় গভীর অবসাদে। দুঃখ, অপরাধ বোধ, শারীরিক দুর্বলতায় জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। হেরে যাবেন না। অবসাদ কাটিয়ে উঠুন এ ভাবে।
অনুভূতি-
গর্ভপাতের পর মহিলারা বিভিন্ন রকম অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যান। একাকিত্ব, অবিশ্বাস, রাগ, অপরাধবোধ, দুঃখ, অবসাদ, মনসংযোগের অভাবের মতো সমস্যা চেপে বসে মাথায়। প্রেগন্যান্সির শুরু থেকেই মা ও শিশুর মধ্যে বন্ডিং তৈরি হয়ে যায়। যা হঠাত্ ছিন্ন হলে মেনে নিতে পারেন না মা। মানসিক দুর্বলতা ডেকে আনে শারীরিক অসুস্থতাও।
এমনটা হলে কী করবেন-
কাছের মানুষদের সঙ্গে থাকুন। যাঁরা আপানাকে বুঝবেন, আপনার প্রতি সহমর্মী হয়ে অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবেন। একা একা অবসাদে ভুগবেন না। স্বামীর সঙ্গে মনোবিদের কাছে যান। দু’জনে এক সঙ্গে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে অবসাদের মোকাবিলা করুন। নিজেকে সময় দিন। অবসাদ, বড় ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগে। তাই নিজেকে দোষ না দিয়ে নিজের প্রতি সহমর্মী হন।
স্বামীর প্রতি-
মনে রাখবেন অপনার স্বামীও কিন্তু অবসাদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তাই দু’জনে দু’জনকে প্রয়োজন, অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন। কথা বলুন, অনভূতি ভাগ করে নিন। চেপে রাখবেন না। দু’জন মানুষের অবসাদ মোকাবিলার ধরণ আলাদা হয়। একে অপরের অবসাদ মোকাবিলার ধরণ বোঝার চেষ্টা করুন, সম্মান দিন। কখনই একে অপরকে দোষারোপ করবেন না।
অন্যকে সাহায্য করুন-
অবসাদের মধ্যে দিয়ে গেলে অন্যকে সাহায্য করলে একা সময় কাটানোর থেকে অন্যদের সাহায্য করলে তাড়াতাড়ি খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে পারবেন। দুঃস্থ শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান, দান করুন। এতে অবসাদ কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy