পিরি়য়ডের সময় কি আপনার মেজাজ বিগড়ে থাকে? কিছুই ভাল লাগে না? মুড সুইং, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব এই সমস্যাগুলোয় সকলেই ভোগেন এই সময়। ডাক্তারি পরিভাষায়একে বলা হয় প্রিমেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম বা পিএমএস। জেনে নিন অবসাদ কাটাতে কী করবেন।
১। ধূমপান- যদি আপনার ধূমপান করার অভ্যাস থাকে, তাহলে অবশ্যই পিরিয়ড চলার সময় ধূমপান বন্ধ রাখুন। সমীক্ষা বলছে যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের মধ্যে পিএমেএসে ভোগার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
২। সচল থাকুন- প্রতি দিন যদি ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন, অথবা হালকা শরীরচর্চা করেন তাহলে পিরিয়ডের সময় মুড সুইং এড়াতে পারেন। পিরিয়ড চলাকালীনও সচল থাকুন। পেট ব্যথা হলেও হালকা কাজকর্ম বজায় রাখুন। হাঁটতে বেরোন।
৩। ডায়েট- পছন্দের খাবার যেমন মুড ভাল করতে পারে, তেমনই ডায়েটে একটু পরিবর্তন আনলেও মুড ভাল হয়ে যায়। পিরিয়ডের সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে মুড ভাল থাকবে। এই সময় ফল, শাক সবজি বেশি করে খান। চিনি, নুন, আর্টিফিশিয়াল সুইটেনার খাওয়া কমান।
৪। অ্যালকোহল ও ক্যাফেন- মুড ভাল করতে অনেকেই কফি খাওয়া বাড়িয়ে দেন। ব্যথা কমাতে অ্যালকোহল খাওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়। এগুলো খান তবে পরিমাণ সীমিত রাখুন। চা, কোকো, চকোলেট না খেতে পারলেই ভাল।
৫। রিল্যাক্স- মুড সুইং হলে কিছুই ভাল লাগে না। অযথা টেনশন হয়। কোনও কাজ করতে ইচ্ছা করে না। অকারণে মেজাজ বিগড়ে থাকে। এমনটা হলে নিজেকে জোর করবেন না। বরং রিল্যাক্স করুন। পছন্দের কাজ করুন। মেডিটেশন, ডিপ ব্রিদিং, মাসাজ এই সময় মুড ভাল রাখবে।
৬। সাপ্লিমেন্ট- ডায়েটে পরিবর্তন আনার সঙ্গে সঙ্গেই সাপ্লিমেন্ট খান এই সময়। ১,২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট এই সময় খাওয়া জরুরি। সেই সঙ্গেই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, লিনোলিক অ্যাসিড পিএমএস কাটাতে পারে।
৭। কগনিটিভ থেরাপি- পিরিয়ডের সময় মুড নেগেটিভ হয়ে থাকে। কগনিটিভ থেরাপির সাহায্যে চিন্তার প্যাটার্ন বদল করা যায়।
৮। খাই খাই করবেন না- মুড সুইং হলে অনেকেই মনে করেন চটপটা খাবার খেলে মুড ঠিক হবে। তাই যা ইচ্ছে করে উল্টো পাল্টা খেতে থাকেন। এই সব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ডিহাইড্রেশন হয়ে শরীর খারাপ হবে। অবসাদ বাড়বে।
৯। অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্ট- খুব বেশি মুড সুইং হলে অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্ট ওষুধ খেতে পারেন। তবে ওষুধ খাওয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলবেন না।
১০। সাহায্য নিন- এই সব দিনে ফাঁকা ফাঁকা লাগে। একা একা সম কাটালে অবসাদ বাড়ে। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান, এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমধান খুঁজে বের করুন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy