পিরিয়ডের সময় কি অসহ্য যন্ত্রণা হয় আপনার? ওই দিনগুলোয় অফিস যাওয়ার কথা ভাবলেই বিরক্ত লাগে? এ দিকে অফিস না গেলেও নয়। পিরিয়ডের ব্যথা সম্পূর্ণ কমানোর কোনও উপায় নেই। তবে কিছু জিনিস মেনে চললে বশে থাকতে পারে যন্ত্রণা। তবে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা কোনও গুরুতর কারণেও হতে পারে যন্ত্রণা। তাই অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে নেবেন।
১। সাপ্লিমেন্ট- প্রতি দিন ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সাপ্লিমেন্ট ক্যাপসুল খান। এই সব জিনিস পেশির শিথিলতা বাড়ায়। রোজ যদি ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৫০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম খাওয়া যায় তবে পিরিয়ডের সময় ব্যথার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। তবে যদি আপনার পেট খারাপ হওয়ার প্রবণতা থাকে তাহলে ডোজ কমান।
২। গ্রিন টি- চা খুব ভাল ইউটেরাইন টনিক। পিরিয়ড চলার সময় অবশ্যই দিনে অন্তত দু’বার গ্রিন টি খান। সারা মাস হার্বাল টি খেলেও এই দিনগুলোয় উপকার পাবেন।
৩। সবুজ শাক সবজি- সবজি যত সবুজ ততই ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে পরিপূর্ণ। আগে পিরিয়ডের সময়ে নিরামিষ খেতে দেওয়া হতো। শুধুই সংস্কার নয়। এর বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। সবুজ শাক-সবজি ব্লোটিং রুখতে সাহায্য করে। এই সময়ে তাই মাছ, মাংস বাদ দিয়ে ডায়েটে বেশি করে শাক-সবজি রাখুন।
জেনে নিন কেন আপনার অনিয়মিত পিরিয়ড হয়
৪। কফি কম খান- ক্যাফেন জাতীয় জিনিস যন্ত্রণা বাড়ায়। এর ফলে শিরা-উপশিরা সঙ্কুচিত হয়ে ব্যথা বাড়ায়। যদি আপানর কফির নেশা থাকে তাহলে এই সময় তা দূরে রাখুন। যন্ত্রণা কমাতে কফি, চকোলেট জাতীয় জিনিস কম খান।
৫। হিটিং প্যাড- হট ওয়াটার ব্যাগ বা হিটিং প্যাড যন্ত্রণা কমাতে পারে।
৬। আকুপাংচার- কিছু কিছু আকুপাংচার পয়েন্ট তলপেটের যন্ত্রণা কমায়। এই সব পয়েন্টে আকুপাংচার করালে খুব ভাল ফল পাবেন। ওষুধের থেকে ন্যাচারাল আকুপাংচার পদ্ধতি।
৭। জল- যে কোনও ব্যথা, ক্র্যাম্প কমানোর উপায় নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা। পিরিয়ডের সময় তাই প্রতি দিন অন্তত তিন লিটার জল খেতে হবে।
৮। শরীরচর্চা- পিরিয়ডের সময় শরীর চর্চা না করলেও মাসের অন্য দিনগুলোয় হালকা ব্যায়াম, হাঁটার অভ্যাস পিরিয়ডের ব্যথা কম করতে পারে।
৯। ফুট মাসাজ- পিরিয়়ডের সময় ফুট মাসাজ নিলে বা হালকা গরম জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকলে আরাম পাবেন।
১০। সক্রিয় থাকুন- শুয়ে, বসে থাকলে যন্ত্রণা বাড়বে। স্বাভাবিক কাজকর্ম থেকে বিরত থাকবেন না। যতো সক্রিয় থাকবেন ব্যথা তত নিয়ন্ত্রণে থাকবে।