ছোটবেলায় গরমের দুপুরগুলোয় দেখতাম চাকা লাগানো কাঠের বাক্স টেনে নিয়ে চলেছেন এক বুড়ো দাদু। সেই গাড়ির এক আলাদাই শব্দ থাকত। আর তা বোধহয় পাড়ার সমস্ত ছোট ছোট ছেলে-মেয়ের চেনা ছিল। গাড়ির শব্দে সবাই হাজির হতাম বাড়ির সদর দরজায়। দাদুর বাক্স থেকে বেরিয়ে আসত সাদা-সাদা নারকেলের আইসক্রিম। দাম ছিল আট আনা, এক টাকা, বড় জোর দু’টাকা। কাল দুপুরে অফিস যাওয়ার পথে হঠাৎই দেখলাম এক ফেরিওয়ালা। নারকেলের আইসক্রিম নিয়ে ফেরি করতে বেরিয়েছেন। আর বাক্সবন্দি করে রাখা পুরনো সব স্মৃতিগুলো হুড়মুড়িয়ে ফিরে এল। ফোনে মাকে আগে থাকতেই নারকেল আনিয়ে রাখতে বলেছিলাম। রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফিরেই লেগে পড়লাম। তাই আপনাদের সামনে আজ হাজির নারকেলের আইসক্রিম। আমার পুরনো স্মৃতির পাতা থেকে। কিন্তু একদম টাটকা, নরম, মেদুর!
উপকরণ:
নারকেল— ২টি
দুধ— ১ লিটার
খোয়া ক্ষীর— ১০০ গ্রাম
চিনি— ৩/৪ কাপ
এলাচ গুঁড়ো— ১ চা চামচ
প্রণালী:
প্রথমে একটি নারকেল ভাল করে কুরিয় নিন। আর একটি নারকেল পাতলা পাতলা করে স্লাইস করে মিহি কুচিয়ে নিন। কুরিয়ে রাখা নারকেল ব্লেন্ডারে দিন। তাতে সামান্য জল মেশান। এ বার কুরিয়ে রাখা নারকেল বেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে রাখুন। তাতে এ বার চিনি ও নারকেল বাটা মেশান। খোয়া ক্ষীর দিন। নারকেলের কুচি ও এলাচ গুঁড়োও দিয়ে দিন। সব মিশিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন যাতে দুধের তলা ধরে না যায়। দুধ ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করতে দিন। এ বার আইসক্রিমের মোল্ডের ভিতরে নারকেল-মেশানো ঘন দুধের মিশ্রণ দিয়ে দিন। ডিপ ফ্রিজের ভিতরে অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা রেখে দিন। আইসক্রিম জমে গেলে বের করে নিন।
(অনেকে এই আইসক্রিম তৈরির সময়ে কনডেন্সড মিল্কও দিয়ে থাকেন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy