Advertisement
E-Paper

মাদার্স ডে-তে মাকে আর একটু বোঝার চেষ্টা করব না?

মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার। অর্থাত্ সেই বিশেষ দিন। মাদার্স ডে। সারা বিশ্বের কাছে এই দিনের আবেদন একই। মা মানেই জীবনের সেই মানুষ যে আমাদের সুখ-দুঃখ, হার-জিত্, সব সময়ের একনিষ্ঠ বন্ধু।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৭ ১৩:২২
Share
Save

মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার। অর্থাত্ সেই বিশেষ দিন। মাদার্স ডে। সারা বিশ্বের কাছে এই দিনের আবেদন একই। মা মানেই জীবনের সেই মানুষ যে আমাদের সুখ-দুঃখ, হার-জিত্, সব সময়ের একনিষ্ঠ বন্ধু। যে মা সবচেয়ে বড় বন্ধু হতে পারে, কখনও কখনও সেই মায়ের উপরই আমরা বিরক্ত হয়ে উঠি। মা বুঝতে পারছেন না, জীবনে অনধিকারচর্চা করছেন, বাধা দিচ্ছেন— এই সব অভিযোগে মায়ের থেকে দূরে সরে যাই আমরা। আসলে মায়েরা যেমন আমাদের বুঝতে পারেন না, আমরাও অনেক সময় মায়েদের বুঝে উঠতে পারি না। মাদার্স ডে-তে ভেবে দেখতে পারেন এগুলো।

মা মানে মা-ই

সন্তানের যত বয়সই হোক, যতই স্বাবলম্বী হোক না কেন মায়ের কাছে সে সন্তানই থাকে। তাই মায়েরা কখনই সেই চিন্তা থেকে বেরোতে পারেন না। রাগ, অভিমান, তর্ক, বকাবকি, কাজে বাধা দেওয়া সেই সবই আসলে সেই অপত্য স্নেহেরই প্রকাশ। তাই মায়ের উপর বিরক্ত না হয়ে উনি কেন এমন আচরণ করছেন তা বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন উনিও আপনাকে বুঝতে পারবেন। কারণ, সন্তান তাঁকে বুঝবে এই প্রত্যাশা সব মায়েদেরই থাকে।

উপদেশ

নিজে মা হলে বুঝবি! এই কথাটা নিশ্চয়ই মায়ের মুখ থেকে শুনেছেন? বড় হয়ে যাওয়ার পর মায়ের উপদেশ শুনতে আমরা অনেকেই বিরক্ত হই। কেন সব ব্যাপারে মতামত দেয়, খিটখিট করে তা নিয়ে অশান্তি করি আমরা। ভেবে দেখবেন, মা কিন্তু তাঁর নিজের ভাবনা অনুযায়ী সেরা উপদেশটাই দিয়ে থাকেন। এবং মায়ের অবস্থানে থেকে উপদেশ না দিয়ে হয়তো থাকাও সম্ভব হয় না সব সময়। অনেক সময়ই যা আমাদের প্রজন্মের কাছে অকেজো হয়তো। রাগারাগি না করে মাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।

জীবনের অংশ

আমাদের জন্মের পর থেকে মায়েদের গোটা জীবনটা জুড়েই থাকি আমরা। সন্তানদের ভালমন্দ, তাদের বেড়ে ওঠা নিয়েই হয় তাদের জগত্। কিন্তু বড় হওয়ার পর আমাদের নিজেদের জগত্ তৈরি হয়। মায়ের থেকে অনেক সময়ই দূরে সরে আসি। মায়েরা কিন্তু আমাদের জীবনের অংশ হতে চান। আমরা যাকে মায়েদের অনধিকারচর্চা, কৌতূহল ভাবি তা আসলে আমাদের জীবন থেকে নিজের হারিয়ে যাওয়ার ভয়। ওঁরা সব সময়ই সন্তানের জীবনের সঙ্গে জুড়ে থাকতে চান।

একাকীত্ব

যত বয়স বাড়ছে তত কি আপনার মা একটু অবুঝ হয়ে উঠছেন? মায়ের উপর বিরক্ত না হয়ে ওঁকে বোঝার চেষ্টা করুন। ছেলে-মেয়েদের নিয়েই জীবনের একটা বড় সময় কেটে গিয়েছে। তাদের পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে থাকতেই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়টা কেটে গিয়েছে। ছেলে, মেয়েরা বড় হয়ে যাওয়ার পর অনের মায়েরা একাকীত্বে ভোগেন। যা কিছুটা বয়সের কারণে। তাই মায়ের অবুঝ আচরণে বিরক্ত না হয়ে তাঁর একাকীত্ব বুঝতে চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন: প্রেগন্যান্সিতে স্ত্রী-র জন্য এই ৭ কাজ অবশ্যই করুন

সবচেয়ে বড় অবলম্বন

মায়েরা সব সময় আমাদের সাহায্য করতে চান। আমাদের প্রজন্মের সঙ্গে ভাবনা-চিন্তায় পার্থক্য থাকার জন্য হয়তো আমরা মায়েদের সাহায্য বুঝে উঠতে পারি না। সব সময় মাথায় রাখুন আজ আপনি জীবনের যে জায়গায় পৌঁছেছেন, যা পেয়েছেন সেটা ওঁর সাহায্য, অবলম্বনের কারণেই। এবং সেই অবলম্বন সব সময়ই আপনার সঙ্গে থাকবে।

Mother's Day Mother's Day Special Relationship Tips

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।