Advertisement
E-Paper

ছাত্রীদের ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন উপহার শিক্ষকদের

হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে এই প্রথম কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসল। এ ক্ষেত্রে কনকনগর এসডি ইনস্টিটিউশন ‘মডেল’ হওয়া উচিত বলে মত শিক্ষক ইউনুস আলির 

  প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ 

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:০২
ছাত্রীদের জন্য উপহার। নিজস্ব চিত্র

ছাত্রীদের জন্য উপহার। নিজস্ব চিত্র

শিক্ষক দিবসে উপহার পেল পড়ুয়ারা।
উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ কনকনগর এসডি ইনস্টিটিউশনে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বুধবার বসেছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন। দীর্ঘ দিন ধরে এই দাবি ছিল পড়ুয়াদের।
ঋতুস্রাবের সময়ে সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অথচ মাসের ওই দিনগুলিতে এখনও অনেকে কাপড় ব্যবহার করেন। যা থেকে অনেক সময়ে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। সেই সমস্যা হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের পড়ুয়াদের মধ্যেও রয়েছে। একাধিকবার সে কথা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা বলেছেন। স্কুলে এগারোশো পড়ুয়ার মধ্যে অর্ধেকের বেশি ছাত্রী। ঋতুস্রাবের সময়ে স্কুলে উপস্থিতির হারও কমে। তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন শিক্ষকেরা। বিষয়টি নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছিলেন তাঁরা।
প্রধান শিক্ষক পুলক রায়চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘ওই সময়ে স্কুলে পড়ুয়ারা আসে না। আমরা বলেছি, তোমরা স্কুলে এসো। এ বার ওদের স্বাস্থ্য বিষয়টিও যেমন অনেকটা নিশ্চিত হল, তেমনই পড়ুয়াদের আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।’’
নবম শ্রেণির পড়ুয়া চন্দ্রিমা বরের বক্তব্য, ‘‘এটার খুব প্রয়োজন ছিল। ঋতুস্রাবের সময়ে আমরা স্কুলে যেতে ভয় পেতাম। এখন অনেকটাই ভয় কাটবে।’’ হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে এই প্রথম কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসল। এ ক্ষেত্রে কনকনগর এসডি ইনস্টিটিউশন ‘মডেল’ হওয়া উচিত বলে মত শিক্ষক ইউনুস আলির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল।
কিছু দিন আগে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের সাধারণ সভা হয়েছিল। প্রায় ৩২০ জন ছাত্রী উপস্থিতিতে ভেন্ডিং মেশিন বসানোর পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যের বিষয়ে একাধিক বক্তব্য উঠে আসে। শিক্ষকেরা পড়ুয়াদের বলেছিলেন, ‘স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে তা যেন শিক্ষিকাদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও জানানো হয়।’
এত দিন পর্যন্ত শিক্ষিকাদের মারফত ন্যাপকিন ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দিতেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও তাতে এখনও জড়তা কাটেনি। ফলে তা যে সব সময়ে কার্যকরী হয়েছে, তা-ও নয়। পাশাপাশি, ন্যাপকিনগুলি ব্যবহারের পরে ফেলে দেওয়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা মেটাতে মাস দেড়েক পরে যান্ত্রিক ভাবে তা নষ্ট করার জন্য মেশিন বসাবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Gender Society Sanitary Napkin Movement
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy