দুরন্ত: ইংল্যান্ড মিডল অর্ডারকে ভাঙলেন কুলদীপ। অভিনন্দন সতীর্থ চহালের। মঙ্গলবার। ছবি: টুইটার
ইংল্যান্ডে ভারতের সিনিয়র দলের জার্সি গায়ে প্রথম মাঠে নেমেছিলেন মঙ্গলবার। তবু দমানো গেল না কুলদীপ যাদবকে। কয়েক দিন আগেই ইংল্যান্ডের যে ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো তুলোধোনা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে তাঁদেরই ইনিংসে ধস নামান একা কুলদীপ। এক ওভারে তিন শিকার করে জো রুটদের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ডই ভেঙে দেন তিনি। পরে আর উঠে দাঁড়াতে পারেননি অইন মর্গ্যানরা। হেরে যান আট উইকেটে।
কুলদীপ যদি এই জয়ের ভিত তৈরি করে থাকেন, তা হলে সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতের জয়ের ইমারত তৈরি করেন আর এক তরুণ কে এল রাহুল। অসাধারন সেঞ্চুরি করে দলকে জেতান প্রায় একাই। সিরিজ শুরুর আগেই বিরাট কোহালি বলেছিলেন, ‘‘আমরা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ভাল দল। ওদের ইংল্যান্ড যে ভাবে হারিয়েছিল, সে ভাবে আমাদের হারানো যাবে না।’’ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের শহরে নেমে এ দিন তা প্রমাণ করে দিলেন তাঁর দলের ছেলেরা।
কুলদীপের চায়নাম্যানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে মঙ্গলবার একই ওভারে ফিরে যান ইংল্যান্ডের তিন সেরা ব্যাটসম্যান অইন মর্গ্যান, জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট। তার আগে আগ্রাসী ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলসেরও স্টাম্প ছিটকে দেন তিনি। পরে আবার আইপিএলে ঝড় তুলে দেওয়া জস বাটলারকেও ফিরিয়ে দেন। তার আগেই অবশ্য বাটলারের ক্যাচ ফেলেছিলেন রাহুল। তবে তিনি তার প্রায়শ্চিত্ত করেন ৫৪ বলে ১০১ রান করে দলকে জিতিয়ে। প্রথম ওভারে শিখর ধওয়ন আউট হওয়ার পরে রাহুল ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় বইয়ে দেন। দশটা চার ও পাঁচটা ছয় হাঁকান তিনি।
আরও পড়ুন: সংযত রাশিয়ায় মাতোয়ারা ভারত
এ দিন কুলদীপ দশম ওভারে আসেন বল করতে। তাঁর দ্বিতীয় ওভারেই হেলসকে আউট করেন। পরের ওভারেই তিন উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের লড়াই শেষ করে দেন। মর্গ্যান ডিপ মিড উইকেটে কোহালির হাতে ক্যাচ দেন। বেয়ারস্টো ও রুটকে স্টাম্পড করেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে কুলদীপ বলেন, ‘‘ছন্দে ছিলাম। তার ওপর উইকেটে বল কিছুটা ঘুরছিল। আবহাওয়াও ভালই ছিল। একবার ছন্দে চলে এলে তো ভাল বোলিং করবই।’’ দলের এই দুই তারকার পারফরম্যান্স নিয়ে কোহালি বলেন, ‘‘ওদের পারফরম্যান্স যে কোনও অধিনায়ককে আনন্দ দেবে। আজ রাহুলকে তিন নম্বরে পাঠিয়েছিলাম ওকে ওই জায়গায় পরখ করে দেখতে। আর কুলদীপ যে অসাধারণ, তা তো সবাই জানি আমরা। ও ছন্দে থাকলে বিপক্ষ সমস্যায় পড়বেই।’’ জয়সূচক ছয়টা কোহালিই মারেন। তার আগে টি-টোয়েন্টিতে দু’হাজার রানও পূর্ণ করেন তিনি। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ম্যাচ ছেড়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ভালই ভিড় জমিয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy