মোহালির মতো এই মেজাজে কি নয়াদিল্লিতেও দেখা যাবে টার্নারকে? ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
রবিবার মোহালিতে কেরিয়ারের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অ্যাশটন টার্নার। ৪৩ বলে ৮৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটমহলকে। সেই ইনিংসের ঘোর অবশ্য তাঁর নিজেরও কাটছে না। এমন ইনিংস খেলেছেন বিশ্বাস করতে চিমটি কাটছেন নিজেকেই!
৩৫৯ রান তাড়া করতে নেমে ৩৬.১ ওভারে অস্ট্রেলিয়া যখন চার উইকেটে ২২৯, ক্রিজে আসেন টার্নার। নেমেই শুরু করেন ধুমধাড়াক্কা। আর তা এতটাই ছিল যে দুই ওভারেরও বেশি বাকি থাকতে জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। এবং প্রথম দুই ম্যাচ হেরেও পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ফেরায় সমতা।
পাঁচ ছয় ও ছয় বাউন্ডারিতে সাজানো ইনিংস তাই হয়ে উঠছে স্মরণীয়। মাঝে মাঝে তো স্বপ্নের মতো লাগছে টার্নারেরও। সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ একদিনের ম্যাচের জন্য নয়াদিল্লিতে নামার পর তিনি বলেছেন, “খুব একটা ঘুম হয়নি। এখনও শরীরে অ্যাড্রিনালিনের দাপাদাপি টের পাচ্ছি। আমার ফোন লাগাতার বেজে চলছে। যা আমার কাছে বেশ অস্বাভাবিক। তবে বিদেশে থেকেও এত সমর্থন পাচ্ছি দেখে ভাল লাগছে। মোহালার রাতটা অবিস্মরণীয় ছিল। এখনও নিজেকে চিমটি কাটছি আমি!”
ভারত-অস্ট্রেলিয়া একদিনের সিরিজ নিয়ে খেলুন কুইজ
আরও পড়ুন: ‘ধোনিও তো কেরিয়ারের শুরুতে ক্যাচ ফেলেছে, স্টাম্পিং ছেড়েছে’
আরও পড়ুন: অজিদের বিরুদ্ধে সিরিজ জিততে কে বাজিমাত করবেন? দেখে নিন ভারতের সম্ভাব্য একাদশ
ভারতীয় কন্ডিশন সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা ছিল না টার্নারের। যা কাজে এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। টার্নারের কথায়, “ভারতীয় কন্ডিশন সম্পর্কে বিশেষ ধারণা ছিল না। কয়েকটা ম্যাচে দেখলাম যে পরের দিকে বল নরম হয়ে যাচ্ছে। রান করা মুশকিলের হয়ে উঠছে। ক্রিজে নেমেই বুঝে ফেলি যে ক্রমশ ব্যাটিং কঠিন হয়ে উঠছে। তাই শুরুতেই মারার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। শিশিরের কারণে বল রিভার্স সুইং হচ্ছিল না।”
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy