কঠিন সময়ে অর্ধশতরান করে রবীন্দ্র জাডেজার উৎসব।
যে পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি, সেই পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তোলা বেশ কঠিন কাজ। তাও আবার এমন একজন ব্যাটসম্যানের পক্ষে, যিনি ইংল্যান্ডে শেষ টেস্ট খেলেছেন চার বছর আগে। আর সঙ্গে এমন একজন, যিনি জীবনে প্রথম টেস্ট খেলছেন। দু’জনে মিলে ৭৭ রানের পার্টনারশিপ খেলে যে ভারতকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করবেন, তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। কী করে পারলেন এ ভাবে ছবিটা পাল্টে দিতে?
রবিবার খেলার পরে টিভিতে জাডেজা বলছিলেন, ‘‘আমি যখন ক্রিজে আসি, তখন হনুমা সেট হয়ে গিয়েছে। ওকে বললাম, তুমি যেমন খেলছ খেলে যাও। নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলাম প্রায়ই। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যাট করার চেষ্টা করছিলাম।’’ এমন কঠিন সময়ে কী ভাবে নিজেদের ক্রিজে টিকিয়ে রাখলেন, এই প্রশ্নে জাডেজা বললেন, ‘‘সত্যিই খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল। তবে আমরা কেউই স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে ব্যাট করিনি তখন। একটাই চেষ্টা ছিল, নিজেদের উইকেটে টিকিয়ে রাখা। রান আসাটা তার পরের ব্যাপার। কত রান উঠছে, কে কত রান পাচ্ছি, সে সব না দেখেই ব্যাট করে যাচ্ছিলাম।’’
লর্ডসে হাফ সেঞ্চুরি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৪-য় যা করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে ব্যাট করতে নেমেছিলেন বলে জানালেন জাডেজা। বলেন, ‘‘লর্ডসের সেই হাফ সেঞ্চুরিটার কথা মাথায় ছিল আমার। তবে সে বার ইনিংসের গতি অনেক বেশি ছিল। একশোরও ওপর স্ট্রাইক রেট ছিল। এই ইনিংসে সেই পরিস্থিতি ছিল না। এ বার উইকেটে টিকে থাকার কথা ভেবেই খেলতে হচ্ছিল।’’ এত দিন পরে ফিরে এসে এমন কঠিন পরিস্থিতিতে পড়া এবং ওভালে স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যন্ডারসনের মুখে পড়া নিয়ে ৩৭তম টেস্ট খেলা জাডেজা বলেন, ‘‘এই পরিবেশে অ্যান্ডারসন, ব্রডদের খেলা সত্যিই কঠিন। আর ওরা ভাল বোলিংও করছিল। তবে আমি ও সব ভাবিইনি। সামনে বোলার কে, কোথায় খেলছি, এ সব মাথা থেকে বার করে দিয়েছিলাম। প্রতিটা বল ধরে ধরে খেলছিলাম। তাই খুব একটা চাপে পড়িনি।’’
হাফ সেঞ্চুরির পরে সেই পুরনো স্টাইলে তরোয়াল চালানোর মতো করে উৎসব করেন জাডেজা। এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এই ভাবে তো আগেও সেলিব্রেট করেছি। আর এই ইনিংসটা যখন বেশ লড়াকু, তখন তো এ ভাবেই উৎসব করা উচিত। আরও একবার সেই সুযোগ পেয়ে বরং ভালই লাগছিল।’’
টেল এন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করাটাও মোটেই সহজ কাজ ছিল না বলে জানালেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy