Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Yuvraj Singh

ফ্লিনটফের স্লেজিংয়ে ক্ষিপ্ত হয়েই ব্রডকে ছয় ছক্কা, ফাঁস করলেন যুবরাজ

২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা গিয়েছিল যুবিকে। কিংসমিডে ভারতীয় ইনিংসের ১৯তম ওভারে ব্রডের ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বাঁ-হাতি।

ফ্লিনটফের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন যুবরাজ।

ফ্লিনটফের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন যুবরাজ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ১১:১৩
Share: Save:

অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের স্লেজিংয়ে ক্ষেপে গিয়েছিলেন। আর সেই রাগেরই বহিঃপ্রকাশ হল স্টুয়ার্ট ব্রডকে মারা পর পর ছয় ছক্কা। জানিয়ে দিলেন স্বয়ং যুবরাজ সিংহই।

২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা গিয়েছিল যুবিকে। কিংসমিডে ভারতীয় ইনিংসের ১৯তম ওভারে ব্রডের ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বাঁ-হাতি। ১২ বলে পৌঁছেছিলেন হাফ-সেঞ্চুরিতে। যা এখনও এই ফরম্যাটে দ্রুততম পঞ্চাশ। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ৫৮ করে থামেন তিনি। যাতে ছিল তিনটি চার ও সাতটি ছয়। চার উইকেটে ভারত তোলে ২১৮। সেই ম্যাচ ১৮ রানে জেতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল।

আরও পড়ুন: ‘সে দিন আমিও জার্সি খুলেছিলাম কিন্তু কেউ লক্ষ্যই করেনি’​

যুবির সে দিনের বিধ্বংসী মেজাজের পিছনে রহস্য কী ছিল? ফাঁস করলেন স্বয়ং যুবরাজ। বললেন, “সত্যি বলতে আমার মাথায় অত ছয় মারার ভাবনা ছিল না। কিন্তু ফ্লিনটফের সঙ্গে তর্কাতর্কি আমায় রাগিয়ে দিয়েছিল। তার আগের ওভারে ফ্লিনটফকে দুটো ভাল বলে বাউন্ডারি মেরেছিলাম। যা ওর পছন্দ হয়নি। সেই ওভারের পর যখন অন্য প্রান্তে হেঁটে যাচ্ছি তখন ও কিছু কথা বলে। যা আমি ঠিক বলতে পারব না। তবে আমার শটগুলো নিয়ে খোঁচা দিল। আমি তখন পাল্টা মন্তব্য করলাম। তর্কাতর্কি শুরু হল। ফ্লিনটফ বলল, তোমার গলা কেটে নেব। আমি বললাম, হাতের ব্যাট দেখতে পাচ্ছ তো? জানো, এই ব্যাট দিয়ে তোমায় কোথায় মারব? আম্পায়াররা এগিয়ে এসে থামালেন আমাদের। তবে আমি খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। ঠিক করেছিলাম, প্রতিটি বলই পাঠাব বাইরে। সৌভাগ্যের হল, দিনটা আমারই ছিল।”

আরও পড়ুন: ‘তোমাকে নেটে পেলেই আউট করব’, বিরাটকে ওপেন চ্যালেঞ্জ সাকলিনের

স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারের প্রথম বল ডিপ মিড উইকেটে ছয় মেরেছিলেন তিনি। পরেরটা উড়ে যায় ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে, তৃতীয়টা ওয়াইড লং-অফে। চতুর্থ বল ছিল ফুলটস, যা যায় পয়েন্টের দিকে। পঞ্চম বলে ছয় মারেন স্কোয়ার লেগে। আর ষষ্ঠ বল যায় ওয়াইড লং-অন বাউন্ডারিতে। যুবি বলেছেন, “এখন যখন আমি ছয়গুলো দেখি তখন ভাবি কী করে প্রথম ছয় মেরেছিলাম। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছয় ছিল ভাল শটে। কিন্তু চতুর্থটা ছিল পয়েন্টে।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE