Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
বর্ধমান ময়দান

রাজ্য দলে ঠাঁই পেলেন দুর্গাপুরের দুই ফুটবলার

বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তার জন্য নবম শ্রেণির পরে পড়াশোনাটা আর হয়নি। কিন্তু তা বল পায়ে মাঠ দাপানোটা বন্ধ হয়নি দুর্গাপুরের দুই কিশোরের।

তারক ঘোষ ও কিষাণ বাদ্যকর।-নিজস্ব চিত্র

তারক ঘোষ ও কিষাণ বাদ্যকর।-নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৫
Share: Save:

বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তার জন্য নবম শ্রেণির পরে পড়াশোনাটা আর হয়নি। কিন্তু তা বল পায়ে মাঠ দাপানোটা বন্ধ হয়নি দুর্গাপুরের দুই কিশোরের। সেই একাগ্রতার ফলও পেয়েছে মামরা গ্রামের তারক ঘোষ ও কিষাণ বাদ্যকর। কেন্দ্রীয় সরকারের খেলো ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব ১৯ রাজ্য ফুটবল দলে স্থান পেয়েছে তারা।

গ্রামের লোহারপাড়ায় বাড়ি দু’জনেরই। গ্রামবাসীরা জানান, দিনভর এই দুই কিশোরকে মাঠে দেখা যায়। কখনও বা ভিন্ গ্রামে, কখনও বা স্কুলের প্রতিযোগিতাতেও জার্সি পরে ছুট দেয় তারা। আর এমনটা করতে করতেই এক দিন মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার নজরে পড়ে যায় দু’জনেই।

শুরু হয় প্রশিক্ষণ। ড্রিবল, বলের উপরে নিয়ন্ত্রণ সব কিছুতেই দু’জনের জুড়ি মেলা ভার। এক নাগাড়ে এমনটাই বলছিলেন সংস্থার প্রশিক্ষকেরা।

মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা জানায়, প্রথমে মহকুমা ও পরে জেলা স্তরেও সাফল্য পায় দু’জনে। রাজ্য দলগঠনের জন্য তারক ও কিষাণ-সহ দুর্গাপুর থেকে চার জন ডাক পায়। চূড়ান্ত দলে জায়গা করে নেয় তারক ও কিষাণ। দু’জনে এখন কলকাতায় প্রশিক্ষণ শিবিরে রয়েছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্য দলের সঙ্গে চেন্নাইয়ে যাচ্ছে তারা।

তবে ফুটবলে সাফল্য এলেও বাড়়ির অবস্থা তেমন ভাল নয়। দীপকের বাবা মংলাবাবু দিনমজুর। কিষাণের বাবা মানিকবাবু ডেকরটর্সের কর্মী। তবে দু’টি পরিবারই জানায়, বাড়ির আর্থিক অবস্থা ফুটবলে বাধা হয়নি ছেলেদের। ছেলেরাও পরিবারের এমন ভরসার মান রেখেছে।

আর তাই বোধহয় মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক তাপস সরকারের আশা, ‘‘ওরা দু’জনেই খুব ভাল ফুটবলার। ভিন্ রাজ্যে গিয়েও ওরা সফল হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Footballer football Durgapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE