Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শেষ যুদ্ধে সুব্রতর ভরসা দুই বিদেশি

ছাপ্পান্ন বছর পরে ইতিহাসের মুখে দাঁড়িয়ে তারা। আর একটা জয় পেলেই কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়নের সিংহাসনে বসবে টালিগঞ্জ। ইতিহাস গড়া হবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে সুব্রত ভট্টাচার্যও তৈরি আক্রমণের জবাবে লাল-হলুদকে পাল্টা আক্রমণ উপহার দিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:৪১
Share: Save:

ছাপ্পান্ন বছর পরে ইতিহাসের মুখে দাঁড়িয়ে তারা। আর একটা জয় পেলেই কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়নের সিংহাসনে বসবে টালিগঞ্জ। ইতিহাস গড়া হবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে সুব্রত ভট্টাচার্যও তৈরি আক্রমণের জবাবে লাল-হলুদকে পাল্টা আক্রমণ উপহার দিতে।

ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের আগে ড্যানিয়েল বিদেমি ও কোকো সাকিবো জুটিকেই একসঙ্গে অনুশীলন করাচ্ছেন টালিগঞ্জ অগ্রগামীর টিডি সুব্রত। শুক্রবার প্র্যাকটিস ম্যাচে দুই ফরোয়ার্ডের কম্বিনেশন তৈরি করার চেষ্টা করলেন টালিগঞ্জ টিডি। লাল-হলুদের র্যান্টি-ডুডু যদি নিয়মিত গোলের মধ্যে থাকেন, তবে গোলের মধ্যে টালিগঞ্জের এই জুটিও। গত ম্যাচে চার গোল করে এমনিতেই ফর্মে কোকো। আর কলকাতা লিগে এখনও পর্যন্ত আঠারো গোল করেছেন (দু’পর্ব মিলিয়ে) ড্যানিয়েল।

প্র্যাকটিস শেষে ড্যানিয়েল বলে দিলেন, “আমি তৈরি। সম্পূর্ণ ফিট। আশা করছি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে গোল করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করব। ট্রফি না পেলে খাটাখাটনির কোনও মানে থাকবে না।” ২০০৭ থেকে কলকাতার বিভিন্ন ক্লাব মহমেডান, পোর্ট ট্রাস্ট, ইউনাইটেড ও ভবানীপুরে খেলেছেন বিদেমি। ইতালির সিরি ‘বি’-র ক্লাবে ট্রায়ালও দিতে গিয়েছিলেন। তবে এই মরসুমেই নিয়মিত গোল করে নজর কেড়ে নিয়েছেন বিদেমি। ভাল ফর্মের কারণ হিসাবে সতীর্থদেরই দায়ী করলেন টালিগঞ্জ ফরোয়ার্ড। বললেন, “আমার সতীর্থরা বল না বাড়ালে এত গোল করতে পারতাম না। আশেপাশে ভাল ফুটবলার থাকলে এমনিতেই সেরাটা বেরিয়ে আসে।” আর কোকো এখন থেকেই পাখির চোখ করছেন লাল হলুদ গোল। বলছেন, “গোল করলেই কোনও স্ট্রাইকার অক্সিজেন পায়। আমি জানতাম গোল করলেই প্রথম দলে সুযোগ পাব। ইস্টবেঙ্গল ভাল দল। বড় ক্লাব। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য থাকবে জয়ের গোলটা করার।”

লাল-হলুদ রক্ষণ কাঁপাতে যদি সুব্রতর অস্ত্র হয় ড্যানিয়েল-কোকো, তবে র্যান্টি-ডুডু জুটিকে আটকাতে টালিগঞ্জ টিডির বাজি বাবু মণ্ডল। যিনি গোটা মরসুমে ধারাবাহিক ভাবে ফুটবল খেলেছেন। যাঁকে দেখে এতটাই খুশি সুব্রত যে তাঁকে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে খেলার মতো প্রতিভা বলে দাবি করলেন তিনি। বাবু বললেন, “কোচ যে এত ভরসা রেখেছেন তাতেই আমি খুশি। ইস্টবেঙ্গল আমার প্রিয় ক্লাব। কিন্তু নব্বই মিনিটের জন্য সব ভুলে যাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE