ইট ভাটায় সঙ্গীতা সোরেন। ছবি: টুইটার থেকে
ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন গত বছর। করোনার জন্য সারা দেশে লকডাউন হয়ে যাওয়াতে সুযোগ আসেনি ভারতীয় দলের জার্সি পরার। তার বদলে মাথায় ইট নিয়ে রোজের টাকায় সংসার চালান সঙ্গীতা সোরেন। ধানবাদের বাসামুদি গ্রামের এক ইট ভাটায় কাজ করেন সঙ্গীতা।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন গত বছর তাঁকে সাহায্য করবেন কথা দিয়েছিলেন। যদিও সেই সাহায্য এসে পৌঁছয়নি। অনূর্ধ্ব ১৭ ভারতীয় দলে খেলেছেন সঙ্গীতা। ভুটান, তাইল্যান্ডে গিয়েও ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ডাক আসে ঝাড়খণ্ডের সিনিয়র দলের হয়ে খেলার। অতিমারির কারণে সেই সুযোগও হয়নি। অন্ধ বাবা এবং ভাইয়ের মুখে খাবার তুলে দিতে তাই মায়ের সঙ্গে ইট ভাটাতেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন সঙ্গীতা।
ছোটবেলা থেকেই অর্থাভাব ছিল। সেই নিয়েই ফুটবল খেলার স্বপ্ন দেখতেন সঙ্গীতা। কষ্ট করে সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তাঁর সব লড়াইয়ের মাঝে যেন হঠাৎ বাধা হয়ে দাঁড়াল করোনা। সঙ্গীতা যদিও অতিমারির থেকেও ক্ষুব্ধ সরকারের ওপর। তিনি বলেন, “প্রতিটা খেলোয়াড়ের ভাল খাবার এবং অনুশীলন প্রয়োজন। এখানকার সরকার সেই দিকে নজর দেয় না। সেই জন্যই আমার মতো ফুটবলার দিনমজুর হয়।” দৃষ্টিহীন বাবাও চান মেয়ের ফুটবল খেলার স্বপ্নপূরণ হোক। সরকারের সাহায্যের আশায় সঙ্গীতার পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy