সেঞ্চুরির পরে এবি ডিভিলিয়ার্স। ছবি: এএফপি
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার-কে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে তাঁর বিরুদ্ধে উঠে এল বল বিকৃতির অভিযোগ।
ওয়ার্নারের বাঁ হাতের দু’আঙুলে টেপ লাগানো রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগ বলের পালিশ বিকৃত করার জন্যই এই টেপ ব্যবহার করেন ওয়ার্নার। এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ওয়ার্নারের প্রাক্তন সতীর্থ রায়ান হ্যারিস। তাঁর মতে, ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অযৌক্তিক। তিনি বলেছেন, ‘‘ছেলেমানুষি করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারেরা। একজন ওপেনারের আঙুলে টেপ থাকা অত্যন্ত স্বাভাবিক।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘ওরা ওয়ার্নারকে নিবার্সিত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। একটি টেপ কখনও বল বিকৃত করতে পারে না। টেপ-এ বালি, অথবা কাঁচের মতো কোনও পদার্থ থাকলে বল বিকৃত হওয়া সম্ভব।’’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনে বিতর্কের পাশাপাশি জমে উঠল ম্যাচও। তার নেপথ্যে অবশ্য এ বি ডিভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি। পেস সহায়ক উইকেটে ১৪৬ বলে তিনি অপরাজিত ১২৬ রানে। তাঁকে যোগ্য সহায়তা দিলেন ভার্নন ফিল্যান্ডার (৩৬) ও কেশব মহারাজের (৩০) ইনিংস। লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান-দের সঙ্গে ডিভিলিয়ার্সের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপের সুবাদেই ৩৮২ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যা স্মিথ-দের থেকে ১৩৯ রানে এগিয়ে রেখেছে ডিভিলিয়ার্স-দের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। কাগিসো রাবাডার ইনসুইংয়ে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় ডেভিড ওয়ার্নার-কে। মাত্র ১৩ রানেই ফিরে যেতে হয় অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ককে। ৮৬ রানের মধ্যেই প্রথম চারজন কে হারায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ২৫ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ (১১)।
সেই পরিস্থিতি থেকে ৮৭ রানের পার্টনারশিপ খেলে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন উসমান খোয়াজা ও মিচেল মার্শ (৩৬)। রাবাডার বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ৭৫ রানে প্যাভিলিয়নমুখী হন তিনি। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ১৮০-৫। বিপক্ষের থেকে ৪০ রানে এগিয়ে স্মিথরা।
তৃতীয় দিনেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে চালকের আসনে রাখলেন রাবাডা। ৩৮ রানে তিনটি উইকেট পেয়েছেন তিনি। চতুর্থ দিনের শুরু থেকে অস্ট্রেলিয়ার পথের কাঁটা তিনি হতে পারেন কি না সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy