মহড়া: মুস্তাফিজুরদের সঙ্গে আলোচনা ফাস্ট বোলিং কোচ
ভারতের বিরুদ্ধে ইনদওরে প্রথম টেস্টে চার উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশ পেসার আবু জায়েদ রাহি। দ্বিতীয় দিনের সকালে চেতেশ্বর পুজারা ও বিরাট কোহালিকে ফিরিয়ে এক সময় ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন সিলেটের এই তরুণ পেসার। প্রথম দিনের শেষে রোহিত শর্মার উইকেটটিও পেয়েছিলেন তিনিই। তাঁর আউটসুইংয়েই ৩২ রানে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ক্যাচ ফেলে দেন ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশের সম্ভাব্য নায়ক হয়ে ওঠা এই পেসারের কাছে কোহালির উইকেটই ছিল স্বপ্নপূরণ। কী ভাবে আরও উন্নতি করা যায়, তা ম্যাচ শেষে জানতে গিয়েছিলেন মহম্মদ শামির কাছে।
ভারতীয় পেসারই যে তাঁর অনুপ্রেরণা। ভবিষ্যতে শামির মতো সিম পজিশন রেখে বল করাই লক্ষ্য রাহির। রবিবার বাংলাদেশের অনুশীলনের শুরুতে আবু জায়েদ বলছিলেন, ‘‘শামি ভাইয়ের মতো বল করতে পারলে খুব ভাল লাগবে। ম্যাচ শেষে ওর থেকে পরামর্শও চাইতে গিয়েছিলাম। শামি ভাইয়ের উচ্চতা আমারই মতো। এ বার সিম পজিশনও যদি উন্নত করতে পারি, তা হলে এক দিন হয়তো ওর মতোই বোলার হয়ে উঠতে পারব।’’
রাহি আরও বলেন, ‘‘প্রথম দিন শামি ভাই যখন বল করছিল, তা মন দিয়ে লক্ষ্য করেছি। ওর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’’
কোহালি, পুজারার উইকেট পেয়েছেন। কেমন ছিল সেই অনুভূতি? রাহির উত্তর, ‘‘কোহালির উইকেট পাওয়া আমার কাছে স্বপ্নের মতো। কোহালিকে আউট করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। সত্যি স্বপ্নপূরণ।’’
গোলাপি বলে এখনও খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি রাহির। ইংল্যান্ড থেকে তাঁর মেজভাই একটি গোলাপি বল উপহার হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তাতে বল করে দেখা হয়নি। এ দিন অনুশীলনে এলেও বল করেননি বাংলাদেশ পেসার। তবুও রাহি মনে করেন, ‘‘গোলাপি বল বেশি সুইং করতে পারে। তা ছাড়া ভারত ও বাংলাদেশ দুই দলই গোলাপি বলের বিরুদ্ধে প্রথম খেলবে। তাই কোনও দলই এগিয়ে আছে বলা যাবে না। যারা ভাল খেলবে তারাই জিতবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy