ওয়াইএমসিএ-কে (কলেজ শাখা) ১৩৫ রানে হারিয়ে লিগ ফাইনালে উঠে গেল ভবানীপুর। চল্লিশ বছর পর।
এ বছর গোড়া থেকেই ভাল খেলছিল ভবানীপুর। এএন ঘোষ ফাইনালেও তারা ওঠে। কিন্তু সেখানে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে যেতে হয় শেষ পর্যন্ত। এ বার আবার একটা ফাইনাল, আবার সামনে ইস্টবেঙ্গল। তবে স্থানীয় ক্রিকেটের টুর্নামেন্ট মর্যাদা বিচারে এটাও আরও উঁচু। সিএবি লিগ।
কল্যানীর সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ভবানীপুর তুলেছিল ৩৫৬। পার্সারথি ভট্টাচার্য় সেঞ্চুরি করেন (১০৪)। শুভম চট্টোপাধ্যায় করেন ৫৮। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২২২ রানে শেষ হয়ে যায় ওয়াইএমসিএ। ভবানীপুর অধিনায়ক ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরিত্র চট্টোপাধ্যায়ও চার উইকেট পান।
ময়দানের শক্তি হিসেবে যে নিজেদের ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছে ভবানীপুর, দু’বছর আগেই বোঝা গিয়েছিল। যে বার তারা এএন ঘোষ চ্যাম্পিয়ন হন। চলতি মরসুমে তারা তুখোড় খেলেওছে। ক্লাবের কোচ আব্দুল মুনায়েম বলছিলেন, ‘‘আমরা বড় নামের পিছনে না ছুটে ভাল স্থানীয় ক্রিকেটার স্পট করেছি। সাফল্য তাতেই এসেছে।’’ ভবানীপুরকে এ বার দু’টো টুর্নামেন্টের ফাইনালে তোলার জন্য মুনায়েম যেমন বাহবা পাচ্ছেন স্থানীয় ক্রিকেটমহলের, ঠিক তেমনই পাচ্ছেন অধিনায়ক ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়ও। বিশেষ করে লিগ প্রিয় কোয়ার্টার ফাইনালে মহমেডানের বিরুদ্ধে ০ রানে ছ’উইকেট নিয়ে তো ক্লাব ক্রিকেটে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ঋত্বিক। বলা হচ্ছে, এ বার তিনি ব্যাট যেমন সফল। নিয়মিত যেমন রান করছেন। ঠিক ততটাই সফল বলেও। প্রয়োজনের সময় উইকেট দিচ্ছেন টিমকে। টিমও ছুটছে। মহমেডান, ইস্টার্ন রেল, শ্যামবাজারের মতো টিমকে একে একে হারিয়ে ভবানীপুরের সামনে এখন লিগ জয়ের হাতছানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy