কুয়ালা লামপুরে ভারতীয় টিটি দলের সতীর্থদের সঙ্গে মৌমা।
১২ বছর পর বিশ্ব টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় ডিভিশনে পুরুষ ও মেয়েদের দল সোনা জিতল। বাংলার দুই টিটি তারকার দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সে রিও অলিম্পিক্সের ১৫৩ দিন আগে বিরাট অক্সিজেন পেল ভারত।
শনিবার কুয়ালা লামপুরে ফাইনালে মৌমারা ৩-১ হারালেন লুক্সেমবুর্গকে। সৌম্যজিতরা ৩-২ জয় পেল ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। ২০০৪-এর পর বিশ্ব টিটি চ্যাম্পিয়নশিপে ফের প্রথম ডিভিশনে ভারতের লড়াইয়ের সুযোগ পাওয়ার পিছনে দাপট দেখালেন বেশি মেয়েরাই। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে একটিও টাই-এ না হেরে।
এই দাপটের রহস্য কী? কুয়ালা লামপুর থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে মৌমা বলেন, ‘‘বারো বছর আগে অনেক অভিজ্ঞতা কম ছিল। জুনিয়র ছিলাম। এ বার আমি আর শরথ কমল সিনিয়র হিসেবে দলকে তাতানোর কাজটা করেছি।’’ সঙ্গে মৌমা আরও যোগ করেন, ‘‘সার্বিয়ার সঙ্গে টাইটাই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। প্রথম ম্যাচটা হেরে গিয়েছিলাম। পরের ম্যাচটা জেতার পর তো আনন্দে কেঁদেই ফেলেছিলাম। সেলিব্রেশনও ছিল বাধভাঙা।’’
প্রায় আড়াই দশকের কেরিয়ারে রেকর্ড কম নেই মৌমার। কিছু দিন আগেই কমনওয়েলথ টিটিতে কিংবদন্তি ইন্দু পুরীর পদক জয়ের রেকর্ড ভেঙেছেন। ৩২ বছর বয়সে দেশের টিটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১৫ বার প্রতিনিধিত্ব করার রেকর্ড গড়েছেন মৌমা এই টুর্নামেন্টেই। তার পরও এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার মোটিভেশন কী? ‘‘খেলাটাকে খুব ভালবাসি। ফিটনেস ধরে রেখে যখন পারফর্ম করতে পারছি, কেন খেলব না। রিও অলিম্পিক্সের আগে এই জয়টা বিরাট মোটিভেশন। এপ্রিলে রিও-র টিম বাছাই। চেষ্টা করব দলে থাকার।’’
যে ছোট্ট মেয়েটার দস্যিপনা সামলাতে এক সময় বাবা-মা ভর্তি করে দিয়েছিলেন নারকেলডাঙার টেবল টেনিস ক্লাবে, টিটি র্যাকেট হাতে তাঁর ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে যাওয়া চলছেই। এ বার যা দেখার অপেক্ষা রিও-তে।
অন্য খেলায়
রহড়া সংঘশ্রী অ্যাথলেটিক ক্লাবের আয়োজনে দু’দিনের ফুটবল টুর্নামেন্ট ৫ ও ৬ মার্চ ক্লাব মাঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy