দর্শক হাঙ্গামার জেরে তখন সাময়িক বন্ধ মহমেডান-সাদার্ন ম্যাচ। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
মহমেডান-১ (রানা)
সাদার্ন সমিতি-১ (টরাস)
মাঠে বোতল পড়ল। রিজার্ভ বেঞ্চে উড়ে এল ইট, কাঠের টুকরো। নিজেদের মাঠে কলকাতা লিগে একটা ম্যাচ ড্র করতেই ফের পরিচিত চেহারায় মহমেডান স্পোর্টিং গ্যালারি।
একেবারে নবীন একটা দল নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে লিগ টেবলে পাল্লা দিয়ে দৌড়চ্ছিলেন মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে এসেই ছোট দলের সামনে হোঁচট। লিগ এখনও অনেক বাকি। তা সত্ত্বেও মেজাজ হারাল সাদা-কালো গ্যালারি।
দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি খেলা গড়িয়েছে। ফল চলছে ১-১। সাদার্নের লাইবেরিয়ান স্ট্রাইকার টরাস গোলের সুযোগ পেয়েও বাইরে মারেন। তার পরেই গ্যালারি থেকে উড়ে আসে বোতল। সেই বোতল টরাসের থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে আছড়ে পড়ল। তাতে আবার এমন প্লে-অ্যাক্টিং শুরু করেন বিপক্ষের ওই বিদেশি ফুটবলার যে, আরও খেপে যান দর্শকেরা। তবে নজর এড়িয়ে যাওয়ায় রেফারি কার্ড বের করেননি। প্রথমার্ধে তার উপর আবার অজয় সিংহের একটা গোল অফ সাইডে বাতিল হয়ে যায়।
রেফারির দুর্বলতার সুযোগ নেন সাদার্ন কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য (পটলা) এবং তাঁর রিজার্ভ বেঞ্চ। ম্যাচ বন্ধ করার দাবি নিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন সবাই। তাতে গণ্ডগোল আরও বাড়ে। গ্যালারি থেকে ক্ষুব্ধ কিছু দর্শক সাদার্নের রিজার্ভ বেঞ্চ তাক করে কাঠের টুকরো এবং বোতল ছুড়তে শুরু করেন। ইটও পড়ে। সমর্থকদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানান মহমেডানের নাসিম-তন্ময়রা। প্রায় সাত মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় খেলা। পরে ম্যাচ কমিশনার সুনন্দ বসু বললেন, ‘‘আপনারা সাংবাদিকেরা যা যা দেখেছেন সব কিছুই থাকবে রিপোর্টে।’’ তিনি কী রিপোর্ট দেবেন কেউ জানে না। তাঁর অবস্থা আইএফএ অফিসে এসে কী হবে কেউ জানে না।
ঝামেলার আগে অবশ্য ম্যাচে দু’বার আলোর ঝলকানি দেখা গেল। দুই টিমের দু’টো গোলে। প্রথমটা মহমেডানের রানা ঘরামি। পেনাল্টি বক্সের বাইরে মোটামুটি একটা কোণ থেকে আউটস্টেপে গোলার মতো শট। গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে ফার্স্ট পোস্ট দিয়ে বল গোলে ঢোকে। সমতা ফেরান সেই টরাস। যিনি গতিতে করিম ও বিক্রমজিৎকে পর্যুদস্ত করে আরও একটা অসাধারণ আউটস্টেপে গোল করেন। বলার মতো আর কিছু নেই। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের ঠিক আগে দু’পয়েন্ট হারিয়ে মহমেডান কোচ মৃদুলও গ্যালারির খারাপ আচরণকে দায়ী করছেন। ‘‘খেলাটা বন্ধ হওয়ায় আমার টিমের ছন্দ নষ্ট হয়েছে। ওই সময় একটা নির্দিষ্ট স্ট্র্যাটেজিতে খেলছিলাম আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy