আই লিগ বনাম আইএসএল। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন বনাম আই লিগের ক্লাব জোট। কখনও আই লিগের ক্লাব জোটের কর্তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিচ্ছেন। কখনও আবার রাজনৈতিক নেতাদের শরণাপন্ন হচ্ছেন। গত কয়েক সপ্তাহে যে-ভাবে নাটকীয় ভাবে পরিস্থিতি বদলেছে, তাতে ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল্ল পটেল এক দিকে যেমন হতাশ, তেমনই চিন্তিত ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
রবিবার সকালে আনন্দবাজারকে ফোনে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ফেডারেশন সভাপতি বললেন, ‘‘খেলাধুলোর মধ্যে রাজনীতিকে টেনে আনা একেবারেই কাম্য নয়। ব্যাপারটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’’ তিনি যোগ করলেন, ‘‘ফিফা ও এএফসির নিয়ম নির্দেশিকা মেনেই এআইএফএফ চলে। ফিফা কখনওই মেনে নেয় না, তৃতীয় কোনও ব্যক্তি বা পক্ষের হস্তক্ষেপ। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে স্বীকৃতি বাতিল করে দেয়। অনেক দেশেই তা হয়েছে।’’
কিন্তু ফিফা কখনওই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে উৎসাহী নয়। তা সত্ত্বেও কেন অবনমনহীন আইএসএলকে দেশের সর্বোচ্চ লিগ করতে উদ্যোগী ফেডারেশন? দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার প্রধানের ব্যাখ্যা, ‘‘আইএমজিআর-এর সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তাকে সম্মান জানাতে আমরা দায়বদ্ধ। তবে তার মানে এই নয় যে, আই লিগের ক্লাবগুলোকে ধ্বংস করা আমাদের লক্ষ্য। ভারতীয় ফুটবলে ক্লাব সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে মরিয়া এআইএফএফ। কারণ, আই লিগের ক্লাবগুলোকে ছাড়া ভারতীয় ফুটবলের কোনও ভবিষ্যৎ নেই।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এই কারণেই এএফসি ও আইএমজিআর-কে বিস্তারিত ভাবে সব বুঝিয়েছি। ওদের বলেছি, আমাদের একটু সময় লাগবে। তাই আগামী তিন বছর আইএসএলের পাশাপাশি আই লিগও চলবে।’’তিন বছর পরে কী হবে? ফেডারেশন সভাপতির কথায়, ‘‘এই তিন বছরেই বোঝা যাবে আই লিগের স্থায়িত্ব কী। স্পনসর, ফুটবলার, ক্লাবগুলো থেকে সাধারণ দর্শক— সবার কাছেই পরিষ্কার হয়ে যাবে পুরো ব্যাপারটা। দ্বিতীয়ত, এই তিন বছরে ফেডারেশনের সাহায্যে নিজেদের উন্নতি করার ও আর্থিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ রয়েছে আই লিগের ক্লাবগুলোর। এই তিন বছরের মধ্যে আমাদের সমাধানসূত্র খুঁজে বার করতে হবে।’’