স্বাগত: লাজং-বধ করে ফিরলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। রবিবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে ডিকার সঙ্গে পেইন (ডানদিকে)। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
গত বার অবনমন হওয়ার পর এ বারের আই লিগে আইজল এফসি-কে ফেরানোর ব্যাপারে সব সময়েই আমার সমর্থন ছিল। প্রথম বার আই লিগে সুযোগ পাওয়ার পর আইজলের পরিবেশ আর তার সমর্থকরা ছিল টিমটার বাড়তি আকর্ষণ।
টিমটার মধ্যে প্রতিভার ছড়াছড়ি কতটা সেটা আরও ভাল ভাবে বোঝা গিয়েছিল গত বছরের ফেডারেশন কাপে। তাই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন যখন এ বারও আই লিগে আইজল এফসিকে ফিরিয়ে আনে তখন খুব খুশি হয়েছিলাম।
আই লিগে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে একটা প্রশ্ন এ বার খুব উঠছে—আইজল কি ভারতীয় ফুটবলের লেস্টার সিটি হতে পারবে? এই ঘটনা বাস্তবে হওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু পুরোদমে রয়েছে।
এ বারের আই লিগ আমার কাছে স্রেফ তিনটে ক্লাবের খেতাবের জন্য দৌড়। কিন্তু লিগের মাঝপথে ছবিটা অনেকটা বদলেছে। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল তো দৌড়ে ছিলই। মোটামুটি হিসেবে বেঙ্গালুরুকে সরিয়ে সেই ত্রিমুখী লড়াইতে ঢুকে গিয়েছে আইজল।
ঘরের মাঠে আইজল অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য। এ ব্যাপারে আইজলের আবহাওয়া যেমন ওদের কিছুটা সুবিধা করে দিয়েছে, তেমনই ওদের কৃত্রিম ঘাসের মাঠে খেলতে এসে সেই সারা বছর ঘাসের মাঠে অনুশীলন করা দলগুলো বিপাকে পড়েছে। যদিও পাহাড়ের দলটির ঝকঝকে সাফল্যের এটি একটি অংশ। কিন্তু আমার মতে এটাই হোম অ্যাওয়ে লিগের মজা।
আর এর সঙ্গে ওদের বর্ণময়, ফুটবলঅন্ত প্রাণ সমর্থকদের কথা উল্লেখ করতেই হবে। সব মিলিয়ে একটা প্যাকেজ-ই বলা যেতে পারে।
সবচেয়ে উল্লেখ করার বিষয় এটাই যে গোটা ভারত জুড়ে এই ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোতেও জিততে হবে। গত বছরের তুলনায় এ বার সে জায়গাতেও উন্নতি হয়েছে আইজলের পারফরম্যান্সে। এ ছাড়াও মিজোরামের বাইরে থেকে বেশ কিছু ফুটবলারকে দলভুক্ত করাটাও ওদের পক্ষে গিয়েছে। ফলে অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে গিয়ে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে টিমটার সমস্যা হচ্ছে না। গত বছর ঠিক এই জায়গাতেই সমস্যা হয়েছিল টিমটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy