উদ্বেগ বাড়ছে মর্গ্যানের।
আইজল এফসি-১ : ইস্টবেঙ্গল-০
(লালদানমাউইয়া রালতে)
পাহাড় কেটে তৈরি কৃত্রিম ঘাসের মাঠের এক দিকে খাদ। মাঠে এমন হাওয়া, যে কাঁপুনি ধরে। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট।
আর সেই মাঠেই এ বারের আই লিগে মারকাটারি ফর্ম দেখাচ্ছে খালিদ জামিলের দল। দশম রাউন্ডের পরেও যেখানে তারা অপরাজিত এ পর্যন্ত। ছ’ ম্যাচের পাঁচটাতেই জয়, একটা ড্র। সোমবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দাপুটে জয়ের পর ২০ পয়েন্ট নিয়ে সঞ্জয় সেন, মর্গ্যানদের এক পয়েন্ট পিছনে থেকে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল পাহাড়ের দলটি।
সোমবার এই মাঠেই প্রথম বার ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী আইজল কোচ বলে দেন, ‘‘ছেলেদের ইচ্ছা থাকলে আই লিগ নিয়ে এই মাঠে উৎসব হতেই পারে।’’
আইজলের মাঠে চোট-আঘাত রোজকার ঘটনা। এ দিন কুঁচকিতে চোট পেলেন লাল-হলুদ স্ট্রাইকার উইলিস প্লাজা। টিম সূত্রে খবর, চোট সে রকম গুরুতর নয়।
ইস্টবেঙ্গলের কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান যদিও মরসুমের প্রথম ম্যাচ হেরে কোনও অজুহাত দিতে নারাজ। আইজল থেকে ফোনে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওরা আজ সব বিভাগেই টেক্কা দিয়ে গেল। আমাদের পরিকল্পনা খাটেনি। তবে এখনও আটটা ম্যাচ বাকি আছে।’’ মর্গ্যান কি এ দিন দলটা ঠিক মতো পরিকল্পনা করে নামিয়েছিলেন? রক্ষণে পাহাড়ের গতিময় টিমের সামনে কেন ম্যাচ ফিট না হওয়া অর্ণব মণ্ডলকে ছেড়ে দেওয়া হল?
প্রাক্তন কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘মর্গ্যান কোন ম্যাচ কী ভাবে খেলতে হবে সেটাই জানেন না। রোমিওকে তুলে নেওয়ায় উইং ধরে যে আক্রমণ হচ্ছিল সেটাও বন্ধ হয়ে গেল।’’
আরও পড়ুন-
ইয়র্কারকে অস্ত্র করে কুলির ছেলে এখন নতুন কোটিপতি
প্রশ্ন উঠতে পারে এ দিন মর্গ্যানের প্রথম টিম বাছা নিয়েও। মাঝমাঠে চার মিডফিল্ডারের তিন জনকেই এ দিন বদলে দিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ। ফলে বোঝাপড়ার অভাবে ভুগলেন মেহতাবরা। যা দেখে গত মরসুমের ইস্টবেঙ্গল কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘টিমটার মধ্যে কোনও পাসার দেখলাম না। আইজলে কোনও জুজু নেই। ওখানে পাল্টা আক্রমণে যেতে হয়। গত বার সেটা করেই ওখান থেকে দু’গোলে হারতে থাকা ম্যাচ ৩-২ জিতে ফিরেছিলাম। মেহতাব, রওলিনদের নামিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ এত রক্ষণাত্মক কেন?’’ আর রালতের করা ম্যাচের একমাত্র গোলে দুই কোচ আঙুল তুলছেন, রেহনেশের গোল ছেড়ে বেরোনোর টাইমিং আর বুকেনিয়া-নারায়ণের বল নজরে না রাখার বিষয়টিকে।
দশম ম্যাচের পরেও চতুর্থ বিদেশি থেকেও নেই লাল-হলুদে। যিনি এসেছেন, সেই ক্রিস্টোফার পেইনকে এ দিন নামাতে সাহস পাননি মর্গ্যান। সমর্থকরা বলছেন, দো দং হিউনকে রেখে দেওয়াই যেত। এ দিন হারলেও লিগ টেবলে ২১ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরেই রইল ইস্টবেঙ্গল। আগামী শনিবার বেঙ্গালুরুতে বিরুদ্ধে আরও বড় পরীক্ষা ইস্টবেঙ্গল কোচের।
ইস্টবেঙ্গল: রেহনেশ, রাহুল, অর্ণব, বুকেনিয়া, নারায়ণ, মেহতাব, রওলিন, রোমিও (রবিন), ওয়েডসন, অবিনাশ (লালরিন্দিকা), প্লাজা (হাওকিপ)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy