দুর্ঘটনা: পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে বেসামাল আইজলের বাস। নিজস্ব চিত্র
ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন আইজল এফসি-র ফুটবলাররা!
ফেডারেশন কাপ খেলতে বৃহস্পতিবার সকালে আইজল শহর থেকে লেংপুই বিমানবন্দরের যাচ্ছিলেন আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনোর কয়েক কিলোমিটার আগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা মেরে রাস্তার ধারে নালায় পড়ে যায় আইজলের টিম বাস। আতঙ্কিত ফুটবলাররা প্রাণ বাঁচাতে বাসের জানলা দিয়েই রাস্তায় লাফিয়ে পড়েন!
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি ফুটবলাররা। আইজল এফসি-র অধিনায়ক আলফ্রেড জারিয়ান ফোনে বলছিলেন, ‘‘আমরা অনেকেই বাসের মধ্যে তখন ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা ঝাঁকুনিতে ঘুমটা ভেঙে গেল। দেখলাম, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটা সোজা খাদের দিকে এগোচ্ছে। মনে হচ্ছিল, মৃত্যু অবধারিত। আমাদের চালক শেষ মুহূর্তে বাসের মুখ ঘোরাতে না পারলে যে কী হতো কে জানে। চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতেই খাদে না পড়ে পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার ধারে নালায় পড়ে যায় আমাদের বাস। সঙ্গে সঙ্গে জানলা দিয়ে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমাদের কেউ জখম না হওয়ায়।’’
কী ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? আলফ্রেড বললেন, ‘‘সতীর্থদের কাছে শুনলাম, উল্টো দিক থেকে আসা একটা গাড়িকে বাঁচাতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বাস চালক।’’ আইজল এফসি-র কর্ণধার রবার্ট রোমাইয়া রয়তে বললেন, ‘‘বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল ছিল বলেই এই বিপত্তি। সবচেয়ে স্বস্তির, ফুটবলাররা সকলেই সুস্থ রয়েছে।’’
দুর্ঘটনার পরে আতঙ্কিত ফুটবলারদের নিয়ে কোচ খালিদ জামিল রাস্তাতেই প্রায় ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়েছিলেন। ক্লাব কর্তারা ফের আইজল থেকে গাড়ি পাঠানোর পরে বিমানবন্দরে পৌঁছন তাঁরা। খালিদ বলছেন, ‘‘পাহাড়ি রাস্তায় এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তাই এ সব নিয়ে আমি ভাবছি না। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফেডারেশন কাপ।’’
কলকাতা ও ভুবনেশ্বর হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কটকে পৌঁছে গিয়েছে আইজল এফসি। ফেডারেশন কাপে আই লিগ চ্যাম্পিয়নদের প্রথম ম্যাচ ৭ মে, রবিবার চেন্নাই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে। আইজলের সঙ্গে একই গ্রুপে আছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও তাদের উদ্বেগ বাড়ছে কটকের গরম নিয়ে। খালিদ বললেন, ‘‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য দ্রুত কটকের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।’’
আই লিগ জিতে ইতিহাস গড়ার পরে ফেডারেশন কাপেও আইজলকে ফেভারিট মনে করা হচ্ছে। খালিদ অবশ্য বলে দিলেন, ‘‘ফেডারেশন কাপ একেবারে আলাদা টুর্নামেন্ট। এখানে সব ম্যাচই কঠিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy