Advertisement
E-Paper

ভারতসেরা হয়ে স্বচ্ছতার অভিনব অভিযান আইজলের

শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও অন্য এক ট্রফি জিতে নিল আইজল এফসি। উত্তর-পূর্বের প্রথম দল হিসেবে রবিবার লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র করে আই লিগ জিতেছে খালিদ জামিলের দল।

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৭ ০১:৪৮
অভিনব: ম্যাচ শেষে গ্যালারি সাফ করছেন আইজল ভক্তরা। —নিজস্ব চিত্র।

অভিনব: ম্যাচ শেষে গ্যালারি সাফ করছেন আইজল ভক্তরা। —নিজস্ব চিত্র।

শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও অন্য এক ট্রফি জিতে নিল আইজল এফসি।

উত্তর-পূর্বের প্রথম দল হিসেবে রবিবার লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র করে আই লিগ জিতেছে খালিদ জামিলের দল। আর আইজল সমর্থকেরা স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে গ্যালারি সাফ করলেন!

ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ফুটবলাররা যখন ট্রফি নিয়ে উৎসবে মেতে উঠেছেন, সমর্থকরা ব্যস্ত ছিলেন গ্যালারির আবর্জনা পরিষ্কার করতে। কাগজ, চায়ের কাপ, প্লাস্টিকের প্যাকেট থেকে জলের বোতল— সব পরিষ্কার করেই স্টেডিয়াম ছাড়েন তাঁরা। জানালেন, অন্য রাজ্যে এসে মাঠ নোংরা করে যাওয়া অন্যায়।

আইজল সমর্থকদের দেখে বিস্মিত শিলংবাসী। প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী আর জে লিংডো বলছিলেন, “আইজল সমর্থকদের ধন্যবাদ। শুধু গ্যালারি পরিষ্কার করার জন্য নয়, আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর জন্য। আমাদের এ থেকে শেখা উচিত।” প্রাক্তন আমলা, সমাজকর্মী টোকি ব্লা বলেন, “খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতাতেও ওঁরা উদাহরণ। এ দেখে আশ্বস্ত হওয়া যায় যে মিজোরামের ভবিষ্যৎ নিরাপদ হাতে রয়েছে।”

রবিবার সকাল থেকেই মিজোরাম থেকে শিলংয়ে আসতে শুরু করেছিলেন আইজল সমর্থকরা। উন্মাদনা চরমে পৌঁছলেও কোনও রকম বিশৃঙ্খলা ছিল না। তার পরে ঐতিহাসিক জয়।

ভারতীয় ফুটবলে বছরের পর বছর ধরে ফুটবলার সরবরাহ করা পাহাড়ি রাজ্য মিজোরামে পাঁচ বছর আগেও ভাল ফুটবল মাঠ ছিল না। মুয়ালপুইতে রাজীব গাঁধী স্টেডিয়াম ২০১২ সালে তৈরি হলেও তার একটি দিকে মাত্র গ্যালারি হয়েছে। নেই নৈশালোকে খেলার ব্যবস্থা। অথচ নেই রাজ্যের সেই ফুটবলাররাই বল পায়ে ফুট ফোটালেন। গত বছর অবনমনে চলে যাওয়া দলটা কোনওমতে এ বারের আইলিগে জায়গা পেয়েই যে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে, তা কেউ ভাবতেই পারেননি।

আইজল এফসি-র ফুটবলাররা অবশ্যই কখনওই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেননি। কোচ খালিদ জামিল তাঁদের সব সময়ই বলছেন, ‘‘তোমরা কোনও অংশে কম নয়। প্রতিপক্ষকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই। মাঠে নেমে নিজেদের সব কিছু উজাড় করে দাও।’’ খালিদ বলছিলেন, ‘‘কোচ হিসেবে আমি শুধু ওদের পরামর্শ দিয়েছি। আসল কাজটা ফুটবলাররাই করেছে।’’

Football Aizawl F.C.
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy