প্রথম ম্যাচের টিকিটের লাইন।—ফাইল চিত্র।
কখনও জল তো কখনও টিকিট, বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে সমস্যায় জর্জরিত দিল্লির লোকাল অর্গ্যানাইজিং কমিটি। প্রথম ম্যাচে এতটাই অব্যবস্থা ছিল যে খাওয়ার জলই শেষ হয়ে গিয়েছিল। ২৭ হাজার স্কুলের বাচ্চাদেরও জল জোটেনি। ফুড অ্যান্ড বেভারেজের যে সব স্টল করা হয়েছিল তার প্রায় সবটাই তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এ অব্যবস্থা নিয়ে লোকাল কমিটি তার পর দিনই মুখ খুলেছিলেন। এ বার আঙুল উঠলো টিকিট বিক্রি নিয়েও। তারও জবাব দিল এলওসি।
আরও পড়ুন: কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে কোন বাঙালি? সাক্ষাৎকারে অকপট মাতোস
প্রথম ম্যাচের দিন সকালেই দেখা গিয়েছিল টিকিটের হাহাকারের দৃশ্য। হতাশ মুখে ফিরত হয়েছিল প্রচুর ফুটবল ফ্যানকে। কাউন্টার থেকে বাইরে ‘সোল্ড আউট’এর বোর্ডও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হচ্ছিল কালোবাজারিও। যাঁরা অনেক আগেই অন-লাইনে টিকিট বুক করে রেখেছিলেন তাঁদের বিশেষ কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু যাঁরা ম্যাচের দিন টিকিটের জন্য চেষ্টা করলেন তাঁরা পেলেন না। তার পর দেখা গেল ৫৮ হাজারের গ্যালারিতে ৪৬ হাজার লোক। বাকি টিকিট কোথায় গেল প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তখন থেকেই। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে তার জবাব দিল লোকাল অর্গ্যানাইজিং কমিটি। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু চুক্তি রয়েছে যাদের টিকিট দিতে হচ্ছে, টুর্নামন্টের ১৩টি কমার্শিয়ার পার্টনার, হোস্ট ব্রডকাস্টার, হোস্ট সিটির বড় নাম, স্টেডিয়াম ও ট্রেনিং সাইট।
এই নিয়মকে সামনে রেখে এলওসি এ দিন বলে, যদি অন-লাইনে সোল্ড আউট দেখায় তা হলে বুঝতে হবে কাউন্টারে বিক্রির জন্য বাকি টিকিট ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথম ম্যাচে তাও পাওয়া যায়নি। তার পরও খালি ছিল প্রায় ১০ হাজারের উপর সিট। জল প্রসঙ্গে অবশ্য এলওসি নিশ্চয়তা দিয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে তেমনটা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy