Advertisement
০৫ মে ২০২৪

নতুন সমস্যার সমাধান চাই

আমার কাছে এটা ঠিক আদর্শ সময়ও ছিল না টেনিসে জড়িয়ে পড়ার। আমার দুই বাচ্চার বয়স এখন ১৩ আর ১৫। আমি এখন নানা কাজে জড়িয়ে আছি। অনেক দায়িত্ব আছে। কিন্তু টেনিসের সঙ্গে আমি সব সময় যুক্ত থাকতে চাই।

জুটি: জকোভিচের সেরা দিন ফিরিয়ে আনতে চান আগাসি। ফাইল চিত্র

জুটি: জকোভিচের সেরা দিন ফিরিয়ে আনতে চান আগাসি। ফাইল চিত্র

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ০৪:৪৮
Share: Save:

চারটে গ্র্যান্ড স্ল্যাম এবং অলিম্পিক্স সোনা তিনি জিতেছেন। অর্থাৎ গোল্ডেন স্ল্যাম। সেই ১৯৯৬ সালে। ১৯৯২ সালে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন এই উইম্বলডনেই। এ বার তিনি সেখানে ফিরেছেন নোভাক জকোভিচের কোচ হয়ে। তাঁর সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন আন্দ্রে আগাসি।

প্রশ্ন: আপনার উইম্বলডন জয়ের পঁচিশতম বছর এটা। কখনও কি ভেবেছিলেন এই বছরে নোভাক জকোভিচের কোচ হিসেবে উইম্বলডনে আসবেন?

আগাসি: না, কখনওই ভাবিনি। আমার কাছে এটা ঠিক আদর্শ সময়ও ছিল না টেনিসে জড়িয়ে পড়ার। আমার দুই বাচ্চার বয়স এখন ১৩ আর ১৫। আমি এখন নানা কাজে জড়িয়ে আছি। অনেক দায়িত্ব আছে। কিন্তু টেনিসের সঙ্গে আমি সব সময় যুক্ত থাকতে চাই। আর সে কাজে আমি যদি কারও উপকারে লাগতে পারি, তা হলে তো কথাই নেই। বিশেষ করে সে যদি আমার অন্যতম প্রিয়পাত্র হয়।

প্র: নোভাকের সঙ্গে আপনার কাজটা কী ভাবে এগোচ্ছে?

আগাসি: নোভাক আমাকে ফোন করেছিল। আমরা অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করি। ওর কী সমস্যা হচ্ছে, টেনিস নিয়ে ওর কী ভাবনা, সেগুলো আমাকে বলে। তার পরে আমরা কোর্টে একে অন্যের সঙ্গে সময় কাটানো শুরু করি। নিজেদের মধ্যে আমাদের বিশ্বাসটাও বাড়তে থাকে।

প্র: আপনার স্ত্রী, স্টেফি গ্রাফের এ ব্যাপারে কী ভূমিকা?

আগাসি: স্টেফি চেয়েছিল, আমি যেন ব্যাপারটা নিয়ে এগোই। ও জানে আমি প্লেয়ারদের কাছ থেকে অনেক ফোন পাই। ভেগাসে এসে অনেক প্লেয়ার আমার সঙ্গে টেনিস নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করে। সেটা স্টেফি জানে। জানে যে, আমি টেনিসটা নিয়ে কতটা ভাবি। ও মনে করে, আমি কাজটা উপভোগ করব।

প্র: নোভাকের জন্য উইম্বলডন তো আগেই শেষ হয়ে গেল। এ বার কী ভাবছেন? ওর প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে কতটা সাহায্য করতে পারবেন?

আগাসি: এটা শুধু টেনিসের ব্যাপার নয়। এটা মানসিকতারও প্রশ্ন। এরা সবাই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। কোচের কাজ হল, ওদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জোগানো যে, তুমি ঠিকঠাক শটটা মারতে পারবে। ওদের বোঝানো যে তুমি ঠিক কাজটাই করছ। তাই কোর্টে নেমে ইতস্তত করো না। কোর্টে নেমে ওরা যাতে হারিয়ে না যায়, সেটা দেখাই আমাদের কাজ। সেই আত্মবিশ্বাসটা জকোভিচের মধ্যে যখন ফিরে আসবে, তখন আমাকে আর ওর দরকার হবে না।

প্র: সেন্টার কোর্টে কোচ হিসেবে নামার অনুভূতিটা কেমন?

আগাসি: মনে হচ্ছিল, আমরা যখন খেলতাম, তখন কোর্টের ওপর যদি একটা ছাদ থাকত! এখানেই আমি প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলাম। সেই পুরনো স্মৃতি ফিরে ফিরে আসছিল।

প্র: আপনার সময়ের থেকে কী পরিবর্তন দেখলেন?

আগাসি: আমি এখন সম্পূর্ণ অন্য দৃষ্টিভঙ্গিতে পুরো ব্যাপারটা দেখছি। এখন আমি কোচ। আগে যখন খেলতাম, তখন অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে কখনও খেতাম না। আমি নিজের খাবার নিয়ে আসতাম। আর কোর্টে নামতাম নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে। সে দিক দিয়ে দেখতে গেলে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে।

প্র: নোভাকের সঙ্গে আপনার রসায়নটা ভবিষ্যতে কী দাঁড়াবে?

আগাসি: আমি জানি, নোভাকের জন্য চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন হবে। কিন্তু ওর প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। ওকে একবার বুঝে নিতে পারলে, নোভাককে কোচিং করানোটা কিন্তু খুব কঠিন কোনও কাজ নয়। এখন ওর নতুন সমস্যার নতুন সমাধান খুঁজে বার করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE