নায়ক: শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে একাই ধস নামালেন আর.অশ্বিন। ছবি: এপি।
উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন সাহায্য নেই। তবু তাঁর আশা, শ্রীলঙ্কাকে কাবু করা যাবে দ্বিতীয় নতুন বল নিয়ে। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়া ভারতীয় অফস্পিনার নতুন বল নেওয়ার অপেক্ষাতেই এখন আছেন।
ভারতের ৬২২ রানের পাহাড়ের সামনে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের রানটা কিছুই নয়। আগের ইনিংসে শ্রীলঙ্কার একটা মাত্র সেশনে আটটা উইকেট খোয়ানোর পরে ফলো অন করে শ্রীলঙ্কা রুখে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় উইকেটের পার্টনারশিপে করুণারত্নে ও কুশল মেন্ডিস ১৯১ রান যোগ করেন। দু’টো সেশনে দু’টোর বেশি উইকেট ফেলতেই পারেননি ভারতীয় বোলাররা। কেন এই হাল? দিনের শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে এসে অশ্বিন বলেন, ‘‘এই উইকেটে গতি বোধহয় ক্রমশ কমছে। কাল আমাদের কাজটা মোটেই সোজা হবে না। আমাদের কাল আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে হবে। আজ মনে হয় আমরা কিছু বেশিই রান দিয়ে দিয়েছি। কাল ওদের আটকাতেই হবে। শুরুর দিকে কয়েকটা উইকেটও পেতে হবে।’’
অশ্বিনের বক্তব্য, নতুন বল খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এই লড়াইয়ে। বলেন, ‘‘উইকেট খুব তাড়াতাড়ি স্লো হয়ে যাচ্ছে। বলে তেমন ধার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কাল যখন আমরা নতুন বলটা নেব, তখন আশা করি ভাল কিছু করা যাবে। নতুন বল নেওয়াটা এই অবস্থায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, ওরা দারুন পার্টনারশিপটা করেছে। লড়াইটা এখন সমানে সমানে হচ্ছে।’’
আগের ইনিংসে পাঁচ উইকেট পান অশ্বিন। এই নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে যা ২৬ বার করে দেখালেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আটকা পড়ে যান। ভারতের এই চ্যালেঞ্জ যে কঠিন করে দিলেন শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যান মেন্ডিস ও করুণারত্নে, তা স্বীকার করে নিয়েই অশ্বিন বলেন, ‘‘ওরা সত্যিই খুব ভাল ব্যাট করেছে। যে সেশনে উইকেট পাইনি আমরা, সেই সময়ও আমরা বেশ কয়েকটা বলে ওদের পরাস্ত করেছি। কিন্তু ওরা তা সত্ত্বেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে।’’
তবে তাঁরা খারাপ বোলিং করেছেন মানতে রাজি নন তারকা অফস্পিনার। বলেন, ‘‘আমাদের বোলাররা রিভার্স সুইং, কাটার, সবই কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছে। হার্দিক পাণ্ড্য তো কাটারেই উইকেট পেল।’’
প্রথম টেস্টে ফলো অন করায়নি ভারত। তখন প্রশ্ন ছিল, কেন করানো হয়নি। এ বার ফলো অন করানো সত্ত্বেও সাংবাদিক বৈঠকে সেই ফলো অন নিয়েই প্রশ্ন। যার উত্তরে অশ্বিন তাঁর ক্যাপ্টেনের পাশেই। বলেন, ‘‘এই ব্যাপারটা নির্ভর করে বোলাররা কতটা তাজা রয়েছে, তার ওপর। প্রথম ইনিংসে আমরা ওদের দু’টো সেশনেই অল আউট করে দেওয়ায় বোলাররা ক্লান্ত হয়ে পড়েনি। সেই জন্যই ওদের ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তা ছাড়া পিচের যা অবস্থা, তাতে চতুর্থ ও পঞ্চম দিন পর্যন্ত খেলা চলবে কি না, সেটাও প্রশ্ন। তাই এই সিদ্ধান্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy