Advertisement
E-Paper

কুটিনহোর গোলের রাতেই ইতিহাস বার্সার

কোপা দেল রে সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে ঘরের মাঠ ক‌্যাম্প ন্যু-তে লুইস সুয়ারেসের একমাত্র গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে জয়ের নেপথ্যে ফিলিপে কুটিনহো-ইভান রাকিতিচ যুগলবন্দি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৬
উল্লাস: কুটিনহো গোল করতেই তাঁর কোলে উঠে পড়লেন মেসি। বৃহস্পতিবার ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে। ছবি: এএফপি

উল্লাস: কুটিনহো গোল করতেই তাঁর কোলে উঠে পড়লেন মেসি। বৃহস্পতিবার ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে। ছবি: এএফপি

ভ্যালেন্সিয়া ০ : বার্সেলোনা ২

কোপা দেল রে-তে ফের ইতিহাস বার্সেলোনার!

গত মরসুমেই সব চেয়ে বেশি বার চ্যাম্পিয়ন (২৯) হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন লিওনেল মেসি-রা। বৃহস্পতিবার রাতে ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে টানা পাঁচ বার ফাইনালে উঠে নতুন ইতিহাস গড়লেন তাঁরা।

কোপা দেল রে সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে ঘরের মাঠ ক‌্যাম্প ন্যু-তে লুইস সুয়ারেসের একমাত্র গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে জয়ের নেপথ্যে ফিলিপে কুটিনহো-ইভান রাকিতিচ যুগলবন্দি।

বার্সেলোনার আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে ম্যাচের শুরু থেকেই গুটিয়ে ছিলেন ভ্যালেন্সিয়ার ফুটবলাররা। তবুও প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার এক মিনিটের মধ্যেই আন্দ্রে গোমেসের পরিবর্তে কুটিনহো-কে মাঠে নামাতেই বদলে যায় ছবিটা। তিন মিনিটের মধ্যেই সুয়ারেসের পাস থেকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলীয় তারকা। তবে বার্সেলোনার হয়ে প্রথম গোল করা কুটিনহোর চেয়েও যেন বেশি উচ্ছ্বসিত ছিলেন মেসি। গোলের পরে ব্রাজিলীয় তারকার কোলে উঠে পড়েন তিনি। ম্যাচের পরে কুটিনহো বলেছেন, ‘‘বার্সেলোনার হয়ে প্রথম গোল করে আমি দারুণ খুশি। প্রথম দিন থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম। অবশেষে স্বপ্নপূরণ।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘বার্সেলোনায় যোগ দিয়েই ফাইনাল খেলার সুযোগ পাওয়াটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি।’’

মেসির মতো সুয়ারেস-ও অবশ্য গোল পাননি ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে। তবে দু’টো গোলের নেপথ্যেই উরুগুয়ে তারকা। ৮৩ মিনিটে সুয়ারেসের পাস থেকেই গোল করেন রাকিতিচ। ম্যাচের পরে উচ্ছ্বসিত বার্সেলোনা ম্যানেজার বলেছেন, ‘‘যোগ্য দল হিসেবেই আমরা জিতেছি। এমন একটা দলের বিরুদ্ধে আমাদের খেলা ছিল, যাদের পিছনে ভ্যালেন্সিয়া শহরের সমস্ত মানুষের সমর্থন ছিল। ফলে ম্যাচটা একেবারেই সহজ ছিল না।’’

ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দখলে নিয়ে নিয়েছিলেন মেসি-রা। ৬৬ শতাংশ বলের দখল ছিল বার্সেলোনার অনুকূলে। নিজেদের মধ্যে ৭৫১টি পাস খেলেছেন কুটিনহো-রা। ভ্যালেন্সিয়ার ফুটবলাররা খেলেছেন ৩৮০টি। অর্থাৎ, অর্ধেকের সামান্য বেশি। মাত্র ৩৪ শতাংশ বল তাঁদের দখলে ছিল। বার্সেলোনা ম্যানেজার বলছিলেন, ‘‘প্রথম পর্বের ম্যাচেও আধিপত্য আমাদের ছিল। কিন্তু জয়টা সহজে আসেনি। এ বার আর সেই সমস্যা হয়নি।’’

বার্সেলোনা শিবিরে উৎসবের রাতেও অবশ্য ভালভার্দে ভুলতে পারছেন না স্প্যানিশ সুপার কাপ ফাইনালের হার। তিনি বলেছেন, ‘‘বার্সেলোনার ম্যানেজার হিসেবে দ্বিতীয় বার কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলাম। আশা করছি, এ বার ভাগ্য আমার সঙ্গেই থাকবে।’’

Football Barcelona Philippe Coutinho Leo Messi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy