২০২৩ সালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু অস্ত্রোপচার শেষ হলেও পেটের যন্ত্রণা কমেনি। দেড় বছর ধরে যন্ত্রণায় ছটফট করার পর ২০২৫ সালে এসে তিনি জানতে পারলেন, তাঁর পেটের ভিতর রয়ে গিয়েছিল আস্ত একটি কাপড়ের টুকরো। দৈর্ঘ্য প্রায় হাফ মিটার!
উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার ওই মহিলা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আদালতের নির্দেশে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর ওই মহিলার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও যন্ত্রণা না-কমায় তিনি ফের হাসপাতালে যান। একাধিক হাসপাতাল ঘুরেও লাভ হয়নি। কী থেকে এই যন্ত্রণা, কেউ ধরতে পারেননি। পেটের ভিতরে কাপড়ের টুকরোর অস্তিত্ব ধরা পড়েনি কোনও পরীক্ষায়।
২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল নয়ডারই একটি হাসপাতালে পরীক্ষার রিপোর্টে মহিলার পেটে একটি ফোলা অংশ দেখা যায়। অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে বার করা হয় কাপড়ের টুকরো। মহিলার অভিযোগ, প্রসবের অস্ত্রোপচারে ওই কাপড় ব্যবহার করা হয়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মহিলার স্বামী। কিন্তু সেখানেও তদন্তে দেরি করা হয়। অভিযোগ, কাপড়ের টুকরোটিকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোই হয়নি। তাঁদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বার বার। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতে যায়। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা রুজু করেছে।