অভিযুক্ত সঞ্জয়।
নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের খারাপ সময়টা আর কাটছে না। বোর্ডের সদ্য সমাপ্ত ওয়ার্কিং কমিটিতে একের পর এক বাউন্সার গিয়েছে শ্রীনিবাসনকে লক্ষ্য করে। যা শ্রীনির অনুপস্থিতিতে সামলাতে হয়েছে তাঁর দূতদের। তারই মধ্যে মঙ্গলবার আরও একটা খারাপ খবর শ্রীনির জন্য। প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সঞ্জয় পটেলকে এ দিন সরিয়ে দেওয়া হল বরোদা ক্রিকেট সংস্থা থেকে। যিনি শ্রীনিবাসনের আমলে বোর্ড সচিব ছিলেন। টিম শ্রীনির অন্যতম স্তম্ভ বলে পরিচিত। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আর্থিক বেনিয়মের।
আর্থিক বেনিয়মের জন্য কাঠগড়ায় শুধু শ্রীনি ঘনিষ্ঠ নয়, স্বয়ং শ্রীনিও। যার জেরে প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্তের রাস্তাতেও যাচ্ছে বিসিসিআই। অভিযোগ উঠেছে, বোর্ডের যে আর্থিক ‘রিজার্ভ’ ছিল, তা শ্রীনির জমানায় অনেক কমে গিয়েছে। কী ভাবে, কোন খাতে এই টাকা খরচ হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখতে চায় বোর্ড। শোনা যাচ্ছে, মে মাসের শেষের দিকে বোর্ড বিশেষ সাধারণ সভা ডেকে শ্রীনির ভাগ্য ঠিকও করতে পারে।
এ দিন বরোদা ক্রিকেট সংস্থা (বিসিএ)-র তরফে সচিব অংশুমান গায়কোয়াড় বলেন, ‘‘আর্থিক বেনিয়মের জন্য সঞ্জয় পটেলের সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। বিসিএ অফিস এবং ড্রেসিংরুম ঠিক করার জন্য ২৫ লাখ টাকার বাজেট ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বিলে দেখা যায় খরচের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৮৯ লাখ। যে টাকা খরচ করার অনুমতি কখনও চাওয়া হয়নি।’’
সঞ্জয় অবশ্য ব্যাপারটা চুপচাপ হজম করছেন না। প্রাক্তন বোর্ড সচিব বলেছেন, ‘‘আমি আদালতে যাচ্ছি। ওদের এই সিদ্ধান্তে আমি অবাক নই। অংশুমান আর আমার মতবিরোধ অনেক দিনের। আরও একটা কথা বলতে চাই। ওই ৮৯ লাখ টাকা খরচের ব্যাপারটা বিসিএ প্রেসিডেন্ট চিরায়ু আমিন থেকে শুরু করে সবাই জানে।’’
সঞ্জয় পটেল এপিসোড ছাড়াও এ দিন আরও একটা ব্যাপার অস্বস্তিতে রাখবে শ্রীনিকে। যে বুকির সঙ্গে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বর্তমান সচিব অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে, সেই কর্ণ গিলহোত্র এ দিন আবার আইসিসি-কে একহাত নিয়ে বলেছেন, তাঁকে ব্যবহার করে অনুরাগের গায়ে কালি ছিটনো হচ্ছে। গিলহোত্রর বক্তব্য, ‘‘আইসিসি-কে আপনারা জিজ্ঞেস করুন, আমার নাম কি ওরা সন্দেহভাজনদের তালিকায় রেখেছে? আমি সেলিব্রিটিদের সঙ্গে মেলামেশা করি। আমি বেশ কয়েক জন ক্রিকেটারকে চিনি। ক্রিকেট জগতেও আমার অনেক চেনা আছে। এটাই যদি আমার অপরাধ হয় তা হলে আমি আইসিসি-কে অনুরোধ করব, আমার বিরুদ্ধে যা প্রমাণ আছে, তা জানাতে। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy