টিম হোটেল নিয়ে ক্ষুব্ধ ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ছবি পিটিআই।
ব্রিসবেন নিয়ে বিতর্ক থামা তো দূরের কথা, অশান্তি চরমে পৌঁছেছে। হোটেলে রোহিত শর্মা, অজিঙ্ক রাহানেদের সবকিছু নিজেদের করতে হচ্ছে। এমনকী শৌচাগারও নিজেদের পরিষ্কার করতে হচ্ছে। একটি সর্বভারতীয় ইংরাজি দৈনিকের খবর সেরকমই। রোহিতরা হোটেলকে ‘জেলখানা’ বলছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, অবস্থা এতটাই খারাপ যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সদ্য হাসপাতাল থেকে ফেরা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে এই শারীরিক অবস্থাতেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
ভারতীয় দলের এক সদস্যের কথায়, ‘‘আমরা ঘরে বন্দি হয়ে রয়েছি। আমাদের নিজেদেরই সব কাজ করতে হচ্ছে। শৌচাগার পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে বিছানা পরিষ্কার, সব আমরা করছি। কাছাকাছি একটা ভারতীয় রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আসছে। সেটা আমরা যে ফ্লোরে রয়েছি, সেখানে দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফ্লোরের বাইরে আমাদের বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। মনে হচ্ছে আমরা জেলে আছি।’’
প্রকাশিত খবর অনুয়াযী, গোটা হোটেল ফাঁকা থাকলেও ঘরের বাইরে বেরোতে পারছেন না তাঁরা। বন্ধ করে রাখা রয়েছে জিম, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং সুইমিং পুলও।
তৃতীয় টেস্ট ড্র করার পর মঙ্গলবার চতুর্থ টেস্ট খেলতে ব্রিসবেন পৌঁছেছে টিম ইন্ডিয়া। ভারতীয় দলের আরও অভিযোগ, স্টেডিয়াম থেকে চার কিলোমিটার দূরে রাখা হয়েছে তাদের। এই সবকিছু নিয়ে মারাত্মক ক্ষুব্ধ ভারতীয় দল।
আরও পড়ুন:সকালে ‘পজিটিভ’ বিকেলে নেগেটিভ, বুধবার তাইল্যান্ড ওপেনে নামছেন কোভিডমুক্ত
পিটিআই জানাচ্ছে, কিছুদিন আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিষয়টির মধ্যে ঢুকতে হয়েছে। তিনি, বোর্ড সচিব জয় শাহ এবং বোর্ডের সিইও হেমাঙ্গ আমিন নিয়মিত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সৌরভদের আস্বস্ত করা হয়েছে, ভারতীয় দলের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটা দেখা হবে।
আরও পড়ুন:টেস্ট র্যাঙ্কিয়ে বিরাটকে পেছনে ফেললেন স্মিথ
ভারতীয় দলের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, দলের পক্ষ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও প্রথমে তার কোনও সুরহা হয়নি। হোটেলের তরফে বলা হয়, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া, দুই দলের জন্যই একই নিয়ম রয়েছে। কোনও একটি দলকে কোয়রান্টিনের কড়া নিয়ম মানতে হচ্ছে, বিষয়টা এরকম নয়। উপায় না দেখে এরপরই ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং মাত্র কয়েক দিন আগে হাসপাতাল থেকে ফেরা সৌরভকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
প্রথম থেকেই ব্রিসবেন টেস্ট নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছিল বিসিসিআই। করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে থাকে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও রকমে বিসিসিআইকে রাজি করায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy