লোঢা কমিটির চাপে রীতিমতো সমস্যায় বিসিসিআই। কিন্তু নিজেদের জায়গা থেকে টলতে নারাজ অনুরাগ ঠাকুর অ্যান্ড ব্রিগেড। এত সমস্যার মধ্যে নিজেদের মতোই চলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে খেলা না করার হুমকি তো রয়েছেই। বাধ্য হয়েই আবার নিজেদের জায়গা থেকে সরে সুপ্রিম কোর্টকে কিছু ছাড় দিতে হয়েছে বিসিসিআইকে। এত কিছু দেখে বিরক্ত প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ বিসিসিআইকে ‘স্পয়েল্ট চাইল্ড’ আখ্যা দিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বিসিসিআই হল বখে যাওয়া ছেলে। লোঢা কমিটি আসার পর জানিয়ে দিয়েছিল এ ভাবে খেলা চালানো যায় না। যখন বিসিসিআই-এর থেকে তার খেলনাগুলো কেড়ে নেওয়া হল তখন কান্নাকাটি জুড়ে দিল বিসিসিআই।’’
প্রাক্তন এই ক্রিকেটারের মতে সব জায়গায় একটা নিয়ম থাকে যেটা বিসিসিআইতে নেই। বলেন, ‘‘সব জায়গায় একটা রুলিং পার্টি থাকে আর একটা বিরোধি পক্ষ থাকে। শুধু মাত্র বিসিসিআই, যেখানে সেটা নেই। এখানে ইউপিএ আর এনডিএ-র মধ্যে একটা দারুণ মিল রয়েছে। আগে বোর্ড সভাপতি ছিলেন ইউপিএ (শরদ পাওয়ার) আর এখন এনডিএ (অনুরাগ ঠাকুর)। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিসিসিআই-এর সহ-সভাপতির পদের লড়াইয়ে জিততে পারেননি কিন্তু তিনি এখন ফিনান্স কমিটির গুরুত্বপূণ সদস্য। রাজীব শুক্লা ট্রেজারারের পোস্টের লড়াইয়ে হেরে গিয়েছিলেন কিন্তু এখন তিনি আইপিএল কমিটির চেয়ারম্যান। এখানে কেউ বন্ধু নয়। টাকা সবাইকে একসঙ্গে রেখেছে।’’
অতীতেও বিসিসিআইকে এক হাত নিয়েছেন কীর্তি আজাদ। তাঁর মতে ক্রিকেট কারও সমপত্তি নয়। কিন্তু বর্তমান কর্তারা মনে করেন ওটা ওদের ব্যক্তিগত বিষয়। সবাই জানে কী ভাবে খারাপ ম্যানেজমেন্টের জন্য হকি সমস্যায় আজকে।’’ বিসিসিআইকে আক্রমণ করার মধ্যেই ললিত মোদিকে সৎ আখ্যাও দিয়ে দিলেন আজাদ। বলেন, ‘‘এই সব কর্তাদের থেকে ললিত মোদি সৎ ছিলেন। মোদি আইপিএল চেয়ারম্যান ছিলেন যদি সেই সময় কোনও খারাপ করে থাকেন তা হলে তখন তাঁকে বাঁধা দেওয়া হল না কেন। সবাই সব জানত তা হলে কেন মোদিকে টাগেট করা হল?’’ এ রকম নানা প্রশ্ন তুলেছেন আজাদ। প্রশ্ন তুলেছেন আইসিএল-এর বিরোধিতা নিয়েও। তাঁর মতে বিসিসিআই সমর্থন না করায় আইসিএল সাফল্য পায়নি।
আরও খবর
লোঢা কমিটি নিয়ে রায় পিছোল, ফয়সালা আগামী শুক্রবার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy