কোচি টাসকার্সের সঙ্গে চলা দীর্ঘ ছ’বছরের মামলার এ বার শেষ চাইছে বিসিসিআই। নামমাত্র ক্ষতিপূরণ দিয়ে আদালতের বাইরেই তা মিটিয়ে নিতে উদ্যোগী হলেন খোদ বোর্ডের কার্যনির্বাহী সচিব অমিতাভ চৌধুরি। কিন্তু বোর্ড চাইলেও আদালতের বাইরের মধ্যস্থতায় রাজি নয় কোচি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
২৬ জুন কোচি টাসকার্সের মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বিসিসিআইয়ের উচ্চ আধিকারিকরা। ওই বৈঠকেই বোর্ডের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয় ৪৪০ কোটি টাকার বিনিময়ে যেন কোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয় কোচি। বোর্ডের এক শীর্ষ আধিকারিক ওই বৈঠকে বলেন, “ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসার কথা মাথায় রেখে এবং বোর্ডের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে যেন বোর্ডকে এইটুকু ছাড় দেওয়া হয়।” তবে, বোর্ডের অনুরোধে কোনও কাজ হয়নি ওই বৈঠকে। পরে ৪৪০ কোটি ক্ষতিপূরণ বাড়িয়ে ৪৬০ কোটি করে বোর্ড। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। কোচির মালিক পক্ষ স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয় এই ধরনের প্রস্তাবে রাজি হওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: আমেরিকার জাতীয় ক্রিকেট দলে তেলঙ্গনার মেয়ে সিন্ধুজা
উল্লখ্য, ২০১১ সালে প্রথম ও শেষ বার আইপিএল-এ খেলেছিল কোচি টাসকার্স। ২০১১-১২ আইপিএল মরসুমে কোচি ছাড়াও সুযোগ পেয়েছিল সাহারা গ্রুপের পুণে ওয়ারিয়র্স। পরবর্তী মরসুমে পুণে রয়ে গেলেও, চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১তে কোচির চুক্তি বাতিল করে দেয় তৎকালিন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন। পরে বোর্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে কোচি টাসকার্সের মালিকপক্ষ।
অবশেষে ৮ জুলাই ২০১৫ বিচারক রাজেন্দ্র মাল লোধার ডিভিশন বেঞ্চ কোচিকে নির্দোষ জানিয়ে বোর্ডকে ৫৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। এবং এও জানায় উল্লেখ্য ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হলে বোর্ডের বার্ষিক আয়ের ১৮ শতাংশ দিতে হবে কোচিকে।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এখন দেখার, তুঘলকি চালে নেওয়া বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে কতটা নাকাল হতে হয়ে অমিতাভ চৌধুরি এবং কোম্পানিকে।