সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহের সঙ্গে অরুণ ধুমল। ছবি: এপি।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে অধিকাংশ সময়েই চিহ্নিত করা হয় অর্থ বানানোর মেশিন হিসেবে। আর এই ধারণার বিরুদ্ধেই এ বার সোচ্চার হলেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল।
২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস ও লকডাউনের কারণে এই বছরের আইপিএল পিছিয়ে গিয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। যদি বছরের শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হয়, তবে সেই সময় আইপিএল আয়োজনের কথা ভাবছে বোর্ড। আইপিএল না হলে বোর্ডের ক্ষতি হবে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। অনেকেই মনে করছেন, বোর্ড যে ভাবে মরিয়া হয়ে আইপিএল আয়োজনের কথা ভাবছে তার নেপথ্যে ব্যক্তিগত লাভের প্রশ্নও থাকছে। আর এই জাতীয় ভাবনাকেই তীব্র আক্রমণ করেলেন বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: হারলেই দয়া ভিক্ষা চাইত ভারত, বিতর্কিত মন্তব্য শাহিদ আফ্রিদির
আরও পড়ুন: ১৫ দিনে দ্বিতীয় বার করোনা পজিটিভ মাশরফি মোর্তাজা
এক ওয়েবসাইটে অরুণ ধুমল বলেছেন, “আইপিএলকে বলা হচ্ছে অর্থ তৈরির যন্ত্র। যদি তাই হয়, তবে সেই অর্থ কে নিয়ে যায়? সেই অর্থ যায় ক্রিকেটারদের কাছেই। সেই অর্থ কিন্তু কোনও পদাধিকারীর কাছে যায় না। সেই অর্থ যায় জাতির উন্নতির জন্য, ট্র্যাভেল ও ট্যুরিজম শিল্পে, কর দেওয়ার কাজে। ক্রিকেটারদের জন্য ব্যয় করা হয় এই অর্থ। যাঁরা আইপিএল আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের জন্য খরচ করা হয় এই অর্থ। এই প্রতিযোগিতার সুবিধার কথা প্রচার করুক মিডিয়া। বিসিসিআই হাজার হাজার কোটি টাকা দেয় কর হিসেবে, যা দেশ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। এই টাকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, জয় শাহ বা আমার কাছে আসে না। তাই টাকা এলে খুশিই তো হওয়া উচিত।”
আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ধুমল বলেছেন, “বরাবরই বলে এসেছি যে আইপিএল হওয়ার পক্ষে কন্ডিশন যদি ঠিক থাকে ক্রিকেটারদের জন্য, একমাত্র তবেই বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এখনও আইপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিইনি। বোর্ডের তরফে সরকারি ভাবে এখনও অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণাই করা হয়েছে। যদি ক্রিকেটারদের পক্ষে নিরাপদ হয়, একমাত্র তবেই আইপিএল হবে। কখনওই বলিনি যে, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের প্রশ্নে কোনও সমঝোতা করা হবে। যখন নিরাপদ, একমাত্র তখনই হবে আইপিএল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy