অনূর্ধ্ব ২৩ দলকে সাধারণত সিনিয়র দলের সাপ্লাই লাইন মনে করা হয়। কিন্তু বাংলার ক্রিকেটে হতে চলেছে ঠিক উল্টোটা। অনূর্ধ্ব ২৩ দলকে বাঁচানোর জন্য সিনিয়র দল থেকে ক্রিকেটার আনার কথা ভাবা হচ্ছে। যাতে তারা পরের ম্যাচে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। এমনকী পরের ম্যাচের আগে ভিভিএস লক্ষ্মণকে দিয়ে তাতানোর ভাবনাও চলছে।
সম্প্রতি কর্নেল সি কে নাইডু ট্রফিতে বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে সাড়ে তিনশো রান তোলার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৮ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলা। দলের এই পারফরম্যান্সে হতভম্ব সিএবি কর্তারা। শুক্রবার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেটারদের ইডেনে ডেকে এনে সতর্ক করে দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে ফের এমন হলে কড়া পদক্ষেপ নেবেন।
কড়া পদক্ষেপের ভাবনা অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৬ অক্টোবর কল্যাণীতে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ। সেই ম্যাচে মনোজ তিওয়ারির দলের ২৩-এর কমবয়সি ক্রিকেটারদের ডাকা হতে পারে এই দলে। ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন, স্পিনার আমির গনি ও প্রদীপ্ত প্রামানিক এবং পেসার-অলরাউন্ডার কণিষ্ক শেঠদের মধ্যে কয়েকজনকে এই দলে খেলানো হতে পারে বলে সিএবি সূত্রের খবর। এঁদেরই কাউকে দলের নেতৃত্বের দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সোমবার অনূর্ধ্ব ২৩ দল বাছাই হওয়ার কথা। সে দিন বা পরের দিন লক্ষ্মণ হয়তো এই দলকে ‘পেপটক’ দেবেন। সমস্যা হল, বাংলার পরবর্তী রঞ্জি ম্যাচ ১ নভেম্বর থেকে। নির্বাচিত ক্রিকেটাররা ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর অনূর্ধ্ব ২৩ ম্যাচ খেলে ফের ১ তারিখ থেকে সিনিয়রদের হয়ে মাঠে নামতে পারবেন কি না, সেটাই প্রশ্ন। ‘‘বাংলাকে বাঁচাতে তাদের এটুকু করতেই হবে’’, বলছেন এক কর্তা।