Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পুরো পয়েন্ট পেতে সবুজ পিচে বাংলা

প্রায় দু’বছর পরে রঞ্জি ট্রফিতে ঘরের মাঠে নামতে চলেছে বাংলা। ভরপুর হোম অ্যাডভান্টেজ তোলার জন্য তাই মরিয়া মনোজরা।

মহড়া: হিমাচলপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে নামার আগে ইডেনে বাংলার অনুশীলন। নিজস্ব চিত্র

মহড়া: হিমাচলপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে নামার আগে ইডেনে বাংলার অনুশীলন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৫
Share: Save:

ইডেনের এক দিকে যখন বাংলার নেট প্র্যাকটিস চলছিল বৃহস্পতিবার দুপুরে, তখন মাঠের মাঝখানে বাইশ গজ জমিটাতে মাঠকর্মীদের জোর তৎপরতা লক্ষ্য করা গেল। সবচেয়ে অবাক করার মতো সেই অংশের রঙ। সবুজ, প্রায় আউটফিল্ডের মতোই। কলকাতার ফুটবল ছাড়ার পরে বুধবার থেকেই এই সবুজ উইকেটেই দলবল নিয়ে নেমে পড়বে বাংলা। উদ্দেশ্য, কুড়ি উইকেট ফেলে হিমাচলপ্রদেশের কাছ থেকে পুরো পয়েন্ট আদায় করা। পারলে আরও এক বোনাস পয়েন্ট-সহ।

যতটা সহজে লেখা গেল, ততটা সহজ হয়তো নাও হতে পারে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, মহম্মদ শামি ও অশোক ডিন্ডাকে যখন একসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে, তখন ঘাসে ভরা উইকেটে বিপক্ষকে দুই ইনিংসেই অল আউট করে দেওয়াটা খুব একটা কঠিন হবে না। শুধু তো এঁরা দু’জনই নয়। দলে একজন ভাল পেস বোলার অলরাউন্ডার রয়েছেন বি আমিত। যাঁর হাতে ভাল সুইং রয়েছে বলে মনে করেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। রয়েছেন তরুণ বাঁহাতি পেস বোলার কণিষ্ক শেঠও। তাই সবুজ উইকেটে খেলতে অসুবিধা কোথায়? তাই উইকেটের ঘাস রাখারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পেসারদের দুই নতুন অস্ত্রে কাত লাথামরা

প্রায় দু’বছর পরে রঞ্জি ট্রফিতে ঘরের মাঠে নামতে চলেছে বাংলা। ভরপুর হোম অ্যাডভান্টেজ তোলার জন্য তাই মরিয়া মনোজরা। এ দিন থেকেই হিমাচল ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দিল বাংলা। মনোজ সন্ধ্যায় বললেন, ‘‘আমাদের হাতে যখন ভাল পেস বোলার রয়েছে, পেস বোলার অলরাউন্ডারও রয়েছে, তা হলে সবুজ উইকেটে খেলব না-ই বা কেন? দলের শক্তি অনুযায়ীই তো উইকেট হবে।’’

ডিন্ডা ও শামি দু’জনে মিলে দুই ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ম্যাচে বিপক্ষের ১৭ ও দ্বিতীয় ম্যাচে কুড়ি উইকেট ফেলেন বঙ্গ বোলাররা। এই ম্যাচেও একই পরিকল্পনা নিয়েই এগোতে চান তাঁরা। সেই জন্যই সবুজ উইকেটের সাহায্য চান। কিন্তু সবুজ উইকেটে যে বিপক্ষের পেসারদের সামলানো বড় চ্যালেঞ্জ, তা স্বীকার করে নিয়েই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘সবুজ উইকেটে ব্যাট করা অবশ্যই চ্যালেঞ্জ। তবে এ রকম উইকেটে ব্যাট করা উপভোগ করি আমি।’’ লাহলিতে রঞ্জি অভিষেকে ও ইডেনেই রেলের বিরুদ্ধে সবুজ উইকেটে বড় রান পাওয়া সুদীপ তাই ভরসা দিচ্ছেন। প্রথম দুই ম্যাচে বাংলা ইনিংসে পাঁচশোর ওপর রান তুলেছে দু’বার। তবে দু’বারই পাটা উইকেটে। এ বার ইডেনের সবুজ উইকেটে তাই ব্যাটসম্যানদের কাছে বড় পরীক্ষা হতে চলেছে।

এ দিকে কল্যাণীতে বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ দল অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে প্রথম দিন ২৫৮-৫ তুলল। ঋত্বিক রায়চৌধুরী ৯০ ও কাজি জুনেইদ সইফি ৬৬ রান করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE