Advertisement
E-Paper

জুটি না গড়তে পেরে রঞ্জিতে বিপাকে বাংলা

ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন আমির গনি (১) ও বি অমিত (০)। দু’জনেরই বড় রান করার ক্ষমতা রয়েছে। ব্যাটিং অর্ডারের শেষ ভরসা তাঁরা দু’জনেই। কারণ এই জুটির পরেই নামতে হবে অশোক ডিন্ডা, ঈশান পোড়েল ও প্রদীপ্ত প্রামাণিককে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:২৭
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম ইনিংসে টেনেটুনে পাশ করে গেলেন মনোজ তিওয়ারি। ৮৫ বলে ৫৫ রান করে দলকে টানলেন তিনি। হাফসেঞ্চুরি করলেন অনুষ্টুপ মজুমদারও (৫২)। অভিষেক রামন (৪৮), অভিমন্যু ঈশ্বরন (২১), সুদীপ চট্টোপাধ্যায়েরা (৪৩) শুরুটা ভাল করলেও তা বড় রানে পরিণত করতে পারেননি। ফলে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে আমতারের ব্যাটিং পিচেও প্রথম দিনের শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান বাংলার।

ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন আমির গনি (১) ও বি অমিত (০)। দু’জনেরই বড় রান করার ক্ষমতা রয়েছে। ব্যাটিং অর্ডারের শেষ ভরসা তাঁরা দু’জনেই। কারণ এই জুটির পরেই নামতে হবে অশোক ডিন্ডা, ঈশান পোড়েল ও প্রদীপ্ত প্রামাণিককে। শুক্রবার অমিত, অমিরেরা বড় জুটি গড়তে না পারলে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও বিপক্ষের উপর সেই চাপ তৈরি করতে পারবে না বাংলা। যা মনে করছেন মনোজ নিজেও। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘আমরা যদি ৩৫০ রানের উপর করে ফেলতে পারি, তা হলে বিপক্ষের উপর একটা চাপ সৃষ্টি করা যাবে। দ্বিতীয় দিন দু’টি ভাল জুটি না গড়তে পারলে সমস্যা বাড়তে পারে।’’

ম্যাচের আগের দিন দলের বৈঠকে মেন্টর অরুণ লাল বুঝিয়েছিলেন, এক বার ২৫ রানের গণ্ডী পেরিয়ে ফেললে সেই ব্যাটসম্যানকে ইনিংস গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। এ দিন শ্রীবৎস গোস্বামী (১০) ছাড়া প্রত্যেকে ভাল শুরু করলেও বড় ইনিংসে তা পরিণত করতে পারলেন না কেউই। মনোজের কথায়, ‘‘সবাই প্রায় উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিল। ভালই ব্যাট করছিল রামন, সুদীপেরা। আমাদের মধ্যে অন্তত দু’জনের উচিত ছিল ভাল শুরুটা সেঞ্চুরিতে পরিণত করার। কিন্তু আমরা পারিনি।’’

বুধবার উইকেটে ঘাস দেখা গেলেও ম্যাচের দিন তা পেসারদের সাহায্য করেনি। অপ্রত্যাশিত ভাবে ম্যাচ শুরুর দু’ঘণ্টা পরে পিচ মন্থর হয়ে গিয়েছিল। ‘‘উইকেট যে মন্থর হয়ে যাবে তা বোঝা যায়নি। যাই হোক, অজুহাত দেওয়া উচিত নয়। আজকের ভুলগুলো থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। যাতে মরসুমের আগামী ম্যাচগুলোয় অসুবিধা না হয়,’’ মত অধিনায়কের।

হিমাচল প্রদেশের যে দুই পেসারকে নিয়ে সব চেয়ে বেশি চর্চা করা হয়েছিল, সেই পঙ্কজ জয়সোয়াল ও ঋষি ধওয়নই নেন দু’টি করে উইকেট। গুরবিন্দর সিংহ ও অধিনায়ক প্রশান্ত চোপড়া নেন একটি করে উইকেট। আজ শুক্রবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন আমির গনি, বি অমিতেরা জুটি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন কি না সেটাই দেখার।

চোট পেলেন পূজারা: রঞ্জি ট্রফি শুরু হওয়ার প্রথম দিনই ব্যাট করার সময় ঘাড়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন চেতেশ্বর পূজারা। রাজকোটে ছত্তিশগঢ়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল সৌরাষ্ট্রের। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬৪ বলে ৩০ রান করেছিলেন ভারতীয় টেস্ট দলের ব্যাটসম্যান। তার পরেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। যদিও চোট যে গুরুতর নয়, তা নিশ্চিত করেছেন সৌরাষ্ট্রের কোচ শিতাংশু কোটক। তিনি বলেছেন, ‘‘চিন্তার কোনও কারণ নেই। ও ঠিক আছে।’’

চেতনের সেঞ্চুরি: রঞ্জি ট্রফির এলিট গ্রুপ ‘সি’-র ম্যাচে জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ২৪৬ বলে অপরাজিত ১৪৬ রান করেন রাজস্থানের চেতন বিস্ত। প্রথম দিনেই পারভেজ রসুলদের বিরুদ্ধে তিন উইকেট হারিয়ে ৩০০ রান তুলে দিয়েছে রাজস্থান। শুরু থেকেই ইনিংস গড়ার তাগিদে ব্যাট করছিলেন ডান হাতি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ২২টি চারের সৌজন্যে ইনিংস সাজান তিনি। চেতনের পাশাপাশি ৩৯ রান করেন তাঁর দাদা রবিন বিস্ত। চেতনের পাশাপাশি ৪৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান অশোক মেনারিয়া।

সিদ্ধার্থের পাঁচ উইকেট: রঞ্জি ট্রফির এলিট গ্রুপ ‘এ’-র ম্যাচের প্রথম দিন বরোদার বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিলেন গুজরাতের বাঁ হাতি স্পিনার সিদ্ধার্থ দেশাই। ২৭ ওভার বল করে ১০৯ রান দিয়েছেন তিনি। তিন উইকেট নেন পীযূষ চাওলাও। তাঁদের সৌজন্যে ২৯০ রানে শেষ হয়ে যায় বরোদার ইনিংস। বরোদার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ইউসুফ পাঠান (৬৯)। জবাবে গুজরাতের স্কোর ১৫-০।

Cricket Ranji trophy Bengal Himachal Pradesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy