বার্সার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে আবেগাপ্লুত নায়ক মুলারের সংযত প্রতিক্রিয়া, ‘‘ফোন আর এসএমএস বার্তায় ভাসছি। কিন্তু এ বার সব ভুলে যেতে হবে। কারণ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে না পারলে এই জয় অর্থহীন হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, এ রকম বড় জয়ের পরেই কিন্তু বিপর্যয় ধেয়ে আসে অনেক সময়ে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘তবে বার্সেলোনার মতো বড় দলের বিরুদ্ধে এ রকম জয়ের আনন্দই আলাদা। বার্সার মতো তারকাখচিত দলের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আমরা আক্রমণাত্মক ছিলাম। বিপক্ষ বলের দখল নিয়ে আমাদের পরাস্ত করলেও ঘাবড়াইনি। বরং আমাদের লক্ষ্য ছিল, বল পেলেই দ্রুত বার্সেলোনা রক্ষণে হানা দিতে হবে। সেটা করতে পেরেছি বলেই এই ফল।’’ ফুটবল বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আবার এই বড় জয় দেখে তুলনা করছেন ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম জার্মানির ঐতিহাসিক আর এক ম্যাচে মুলারদের ৭-১ জয়ের মুহূর্তকে। উল্লেখ্য, সেই ম্যাচে জার্মানির হয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন মুলারই। আর বর্তমান বায়ার্ন ম্যানেজার ফ্লিক তখন ছিলেন জার্মান কোচ জোয়াকিম লো-র সহকারী। যে প্রসঙ্গে মুলার বলছেন, ‘‘ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচটায় এই খেলার মতো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সে দিন আমরা নিজেদের ছাপিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বার্সেলোনার বিরুদ্ধে এই ম্যাচে বায়ার্নের প্রত্যেকে শুরু থেকেই নৃশংস ভাবে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে রেখে দিয়েছিল।’’
গত ডিসেম্বর মাসে যাঁর আগমনের পরে আমূল বদলে গিয়েছে বায়ার্নের পারফরম্যান্সের লেখচিত্র, দলের সেই ম্যানেজার ফ্লিক আবার জার্মানির ঐতিহাসিক সেই ব্রাজিল-জয় সম্পর্কে পুরনো স্মৃতি রোমন্থনে নারাজ। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘পুরনো সাফল্য না হাতড়ে বর্তমান নিয়েই চলতে পছন্দ করি। বার্সার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় পেলেও ছেলেরা শেষ পর্যন্ত গিয়ে ট্রফিটা ধরতে চায়। তার জন্য এখনও অনেক কঠোর পরিশ্রম করা বাকি।’’ কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে ছত্রভঙ্গ করে বায়ার্নের এই বড় জয়ের পরে উচ্ছ্বসিত জার্মানির ক্লাবটির কর্তারাও বাহবা দিচ্ছেন ম্যানেজারকে। বায়ার্নের শীর্ষ কর্তা কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগে বলছেন, ‘‘দলের এই সাফল্যের কারিগর ফ্লিক। ফুটবলারদের সঙ্গে ম্যানেজারের সুসম্পর্কের ফলটাই পাচ্ছি আমরা।’’